বেড়িবাঁধ মেরামত করতে গিয়ে পানি নিস্কাশনের ড্রেন বন্ধ, এলাকায় জলাবদ্ধতা

লিটন কুতুবী:: পাউবো বেড়িবাঁধ মেরামত করতে গিয়ে পানি নিস্কাশনের ড্রেনসহ পুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃস্টি হয়েছে। এ এলাকার শত একর ফসলি জমি ও অর্ধ শতাধিক পরিবার বর্ষায় পানি নিস্কাশন নিয়ে চরম চিন্তায় পড়ে গেছে। কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূল সমুদ্র বেষ্টিত দ্বীপের বড়ঘোপ ইউনিয়নের দক্ষিণ মুরালিয়ার বেড়িবাঁধ সংলগ্ন গ্রামের পানি নিস্কাশনের একটি পুরোনো পুল (সারফেইস বক্স) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌষুমে এলাকার প্রায় শতাধিক একর কৃষি জমি ও কম পক্ষে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশংকায় শঙ্কিত গ্রামবাসি ৷ বর্তমানে ২০একরের বেশী জমি পানিতে ডুবে আছে। চলতি শুষ্ক মৌসুমে কৃষি উৎপাদনে করা সম্ভব হয়নি বলে জানান এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা।
এলাকার বাসিন্দা কামরুল আহসান জানান, বিগত চার যুগ আগে এ এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য বেড়িবাঁধ কেটে ছোট একটি কালবার্ট বা পুল স্হাপন করা হয়। এ কালভার্ট বা পুল দিয়ে যুগ যুগ ধরে পানি চলাচল করায় কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি রক্ষা পায়। বর্তমানে বেড়িবাঁধ মেরামত কাজের সময় ঐ কালভার্ট বা পুল মাটি পড়ে ভিতর ও বাহিরের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে শুষ্ক মৌসুমে ও কৃষি জমির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পানিতে ডুবে আছে, আর বর্ষা মৌষুমে কি হাল হতে পারে সেই চিন্তায় শঙ্কিত এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোরশেদ আলম মুকুলের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি জানান, আমি সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে এসেছি এবং চেয়ারম্যানের সাথে এব্যাপারে কথা বলেছি, পানি সরানোর জন্য বর্ষায় একটা কালবার্ট তৈরির পরিকল্পনা আমাদের আছে এবং পরিষদের পক্ষ থেকেই আমরা এর ব্যয় বহন করব৷ এই মূহুর্তে এটা নিয়ে ঝামেলা করতে গেলে আমাদের প্রধান চাওয়া বেরিবাঁধের কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে৷ আমি এলাকাবাসিকে এ ব্যাপারে শঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি৷
এ ব্যাপারে পাউবোর কুতুবদিয়া উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী অফিসের শাখা কর্মকর্তা মং চাকমার সাথে কথা হলে তিনি জানান, মুরালিয়া এলাকায় পানি নিস্কাশনের একটা নাশির মতো পুল ছিল। বর্তমানে বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ চলমান। এলাকার সুবিধার্থে উর্ধতন কতৃর্পক্ষের অনুমতি নিয়ে পুনরায় পুল বসানো যায়।