কিডনি রোগ বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে একটি উদীয়মান স্বাস্থ্য সমস্যা। দেশে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সেজন্য এ রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধে একটি রোডম্যাপ তৈরী করে সমন্বতিভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম ক্লাবে কিডনি রোগ বিষয়ক বৈজ্ঞানিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম শাখা এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এর আগে সকালে প্রথম আর্ন্তজাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, সরকার মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা জনগনের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর। এজন্য সিটি করপোরেশন কাজ করছে।
কিডনি রোগ উদীয়মান স্বাস্থ্য সমস্যা: বিএসএমএমইউ ভিসিসম্মেলনে কিডনি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর আমেরিকা, ভারতসহ দেশ-বিদেশের চিকিৎসকরা তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন। দুই দিনের কর্মশালা ১৪টি সেশনে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্রথমদিন ‘কিডনি জন্মগত রোগ’ পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিসের সাম্প্রতিক গবেষনালব্ধ ব্যবস্থাপনার ওপর আলোচনা করেন চমেক কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান ডা. প্রদীপ কুমার দত্ত। এ ছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপনের ওপরও বিশেষ নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যলয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. মোরশেদ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কিডনী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. হারুন উর রশীদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সেলিম মো. জাহাঙ্গীর, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. মোহসেন উদ্দিন আহমেদ, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়সল ইকবাল, রেনাল অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সৈয়দ মাহতাব উল ইসলাম, চট্টগ্রাম শাখার সাধারন সম্পাদক ডা. মো. নুরুল হুদা, আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কমিটির প্রেস ও মিডিয়া সম্পাদক ডা. টিপু কুমার দাশ প্রমুখ।
সম্মেলনে চিকিৎসকসহ দেশ-বিদেশের প্রায় ৫৫০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কিডনি রোগ বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. দীপ্তি চৌধুরীকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।