পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান ই’-এর বিদায়

পদ্মা সেতুর মোট ৪২টি পিলারে ৪১টি স্প্যানের সবগুলোই বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান।

ভাসমান ক্রেনটি এতোদিন মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানগুলো বহন করে পদ্মানদীতে অবস্থিত পিলারগুলোর ওপর স্থাপন করেছে। গত ১০ ডিসেম্বর সেতুর সবশেষ স্প্যানটিও বসিয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। যার ধারণ ক্ষমতা ৪ হাজার টন।

আর এর কর্মদক্ষতার কারণে স্প্যান বসাতে বেগ পেতে হয়নি দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের। এ ভাসমান ক্রেনটি চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছিল। এখন যেহেতু সবগুলো স্প্যান বসানো হয়ে গেছে, তাই যে পথে এসেছিল, সে পথেই রওনা হয়েছে তিয়ান-ই।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনটি চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে এটি ফিরবে গন্তব্যে।

প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ৪২টি পিলারে ৪১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। ভাসমান ক্রেনটির কর্মদক্ষতার কারণে স্প্যানগুলো বসাতে বড় ধরনের কোনো অসুবিধা দেখা দেয়নি। একটি স্প্যান বসাতেও ছোটবড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি। জাজিরা প্রান্তে অবস্থিত পিলারগুলোতে স্প্যান বসানোর জন্য মাওয়া থেকে একদিন আগে স্প্যান নিয়ে যেতো তিয়ান-ই। এর পরদিন পিলারের ওপর বসানো হতো স্প্যানগুলো। আর মাওয়া প্রান্তে বেশিরভাগ পিলারে স্প্যান বসানো হতো একদিনের মধ্যে। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, শ্রমিকদের সহায়তায় ভাসমান ক্রেনটি দিয়ে স্প্যান বসাতে সহজ হয়েছে।