জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রীয় চেতনাকে সমুন্নত রাখতে চাই

এম.আর ক্যাম্পেইন কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন সংবিধান স্বীকৃত মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিশ্চিত করা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রের নৈতিক কর্তব্য ও দায়বদ্ধতার পরিচায়ক চেতনা হিসেবে মন্তব্য করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সীমিত আর্থিক সক্ষমতা ও দেনার বোঝা নিয়েও সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখে জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্রীয় চেতনাকে সমুন্নত রেখেছে। তিনি আজ শনিবার সকালে নগরীর বন্দরটিলা সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতালে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এই কর্মসূচী আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবং কর্মসূচী চলাকালে নগরীর ৯মাস থেকে ১০ বছর বয়সী ৭ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৪ জন শিশুকে হাম-রুবেলা টিকা প্রদান করা হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতির মধ্যেই সারাদেশে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম নগরীতে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই করোনাকালে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি বেদনাজনক। অধিকার প্রতিষ্ঠায় কর্মসুচী পালন করা দোষের নয়। সবাইকে মানবিক দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের বিষয়েটিও ভাবতে হবে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের মাধ্যমে এই টিকা প্রদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। কিন্তু তাদের কর্মবিরতির কারণে বিকল্প ব্যবস্থায় ক্যাম্পেইন কর্মসূচী চলমান থাকবে। কেননা শিশুদের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য রক্ষায় এই টিকা খুবই জরুরী। তিনি টিকাদান কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা, কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রত্যেককে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি বলেন, সাবেক মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য সেবাকে প্রসারিত করে প্রশংসনীয় মানদন্ডে উন্নীত করেছিলেন। তিনি অনেক কষ্ট করে ২০০০ সালে বন্দরটিলায় এই হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে এর মান আগের মত নেই। পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। চেষ্টা করবো এই সমস্যা সমাধানে।
প্রশাসক আরো বলেন, বন্দরটিলা ও ইপিজেড এলাকায় ৫ লাখ কর্মজীবী মহিলা আছেন। কিন্তু তাদের জন্য অত্যাধুনিক কোন ভালো মানের হাসপাতাল নেই। আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যপক জনগোষ্ঠির জন্য একটি উন্নতমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায়। তিনি বন্দরটিলা ও ইপিজেড এলাকায় পরিচ্ছন্নতাসহ যে সকল সেবাধর্মী কাজ সিটি কর্পোরেশন করে যাচ্ছে তার জন্য একটি সার্ভিস চার্জ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এখানকার কলকারখানা থেকে গৃহকর আদায় হয় না। তাই সার্ভিস চার্জ ছাড়া সেবা প্রদান করা সম্ভব নয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইন কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বয়ক ইমং সু চৌধুরী, ডা. সরওয়ার আলম, ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী, সমাজসেবক মোহাম্মদ আবু তাহের, সুলতান নাসির কন্ট্রক্টর, আকবর হোসেন, মোহাম্মদ হারুন, মোহাম্মদ ইউসুফ মেম্বার, মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন, সেলিম রেজা, শারমিন সুলতানা, মো. ফারুক ও মো. লোকমান হাকিম।