লেখক-প্রকাশকদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সমৃদ্ধ হতে পারে প্রকাশনা শিল্প

চট্টগ্রামের প্রকাশনা শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে লেখক-প্রকাশকদের ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অনলাইন বাংলা বইমেলার সেমিনারে বক্তারা।

তারা বলেন, লেখকের কাজ পাণ্ডুলিপি তৈরি করা আর বই প্রকাশ করার দায়িত্ব প্রকাশকদের।
অত্যাধুনিক মুদ্রণযন্ত্র প্রকাশনা শিল্পকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। পরিণত হয়েছে একটি শিল্প। চট্টগ্রামের প্রকাশনা শিল্প টিকিয়ে রাখতে হলে গুণগত ও মানসম্পন্ন পাণ্ডুলিপি লেখকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এজন্য একটি দক্ষ সম্পাদনা পরিষদ গঠন করতে হবে। বইয়ের প্রচার প্রসার ও জাতীয় পর্যায়ে বিপণনের জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও দুর্যোগকালীন প্রণোদনা প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ-নুরনাহার মিলনায়তনে মাসব্যাপী অনলাইন বাংলা বইমেলার নবম দিনে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) ‘প্রকাশনা শিল্পে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এসব কথা বলেন।
সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি শাহ আলম নিপুর সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গবেষক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি ও সাংবাদিক আবুল কালাম বেলাল। আলোচনায় অংশ নেন পরিষদের সহ সভাপতি প্রকাশক মুহম্মদ নুরুল আবসার, প্রকাশক ও শিশুসাহিত্যিক মিজানুর রহমান শামীম, কবি মনিরুল মনির। ধন্যবাদ বক্তব্য দেন অনলাইন বাংলা বইমেলা পরিষদের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক-সাংবাদিক রাশেদ রউফ।

অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সেমিনারে অংশ নেন কবি আজিজ রাহমান, অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, কবি আইয়ুব সৈয়দ, লেখক রেবা বড়ুয়া, অধ্যাপক মৃণালিনী চক্রবর্ত্তী, শিশুসাহিত্যিক সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার, সংগঠক এম কামাল উদ্দিন, লেখক রফিক আহমদ খান, অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, সংগঠক এসএম আবদুল আজিজ, অনুবাদক ফারজানা রহমান শিমু, ছড়াকার সৈয়দা সেলিমা আক্তার, সংগঠক প্রণব রাজ বড়ুয়া, কবি মনজুর আহমেদ, ছড়াকার সাইমুম পাশা মামুন, শিল্পী কাকলী দাশ, কাব্য দাশ প্রমুখ।

অনলাইন বাংলা বইমেলার দশম দিনে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে ‘ চট্টগ্রামে সংগীত চর্চা’ শীর্ষক সেমিনার।