ভাস্কর্য ভাঙ্গা নয়, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত

১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ঐতিহাসিক গৈড়লার টেকে বীরমুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক কমরেড বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: শাহ আলমের নেতৃত্বে ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে প্রচন্ড সম্মুখ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। উক্ত সম্মুখ যুদ্ধে হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়। হানাদার বাহিনীর ১৪ জন নিহত হয়। মুজাহিদ বাহিনী, রাজাকার বাহিনী, পাকিস্তানী পুলিশ বাহিনীসহ হানাদার বাহিনীর শতাধিক পাকিস্তানী আত্মসমর্পণ করে। প্রকৃত অর্থে ঐদিন দক্ষিণ চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত হয়ে যায়। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্ত হয় ১৩ ডিসেম্বর। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ২০০৯ সালে গৈড়লার টেকে একটি বিজয় মিনার স্থাপন করে। উক্ত মিনারে প্রতি বছরের মত আজ ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বিজয় মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং যুদ্ধকালিন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: শাহ আলমের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় আলোচনা করেন যুদ্ধকালীণ ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা উদয়ন নাথ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সম্পাদক কমরেড অশোক সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সহ সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দস্তিদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলক দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জন সিংহ, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি এ্যানি সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা যুগল সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃদুল কান্তি বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, অমিতাভ সেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিলন কান্তি বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল মুল্লক সহ আরও অনেকে। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বলেন ৭১’র পরাজিত সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী শক্তি বাঙালি জাতির ঐক্যের প্রতিক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার উদ্বত্য ও দৃষ্টতা প্রদর্শন করে। এটি স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আক্রমন। এই স্বাধীনতা বিরোধী এই অপশক্তির ঘৃণ্য তৎপরতার প্রতিরোধ করার দৃড় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং এই রাষ্ট্রদ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা ও এর নেতৃত্ব প্রদানকারীদের গ্রেফতার করার জোর দাবি জানান এবং রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।