১১ মাসের শিশুটির ভবিষ্যৎ অন্ধকার


রাউজানে পুকুর থেকে গলায় ইট বাধা নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা, স্বামী কারাগারে

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃচট্টগ্রামের রাউাজনে গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর এলাকার একটি পুকুর থেকে ইট বাঁধা নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রাউজান থানা হত্যা মামলা হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় নিহত নাছরিন আকতার সুবর্ণা (২৫)’র ছোটবোন নাছিমা আকতার বাদি হয়ে এই মামলা (মামলা নং-০৫, তাং-০৮-১২-২০২০) করেন। মামলায় নিহতের স্বামী মনছুর আলমের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত মামলার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মামলার আসামী মনছুর আলমকে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল পুলিশ। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মুখ খুলেনি আটক মনছুর। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় হত্যামামলার আসামী মনছুর আলমকে চট্টগ্রাম আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদি নাছিমা আকাতার বলেন, আমার বোনের হত্যার বিচার চাই। খুনির বাড়িতে আমার বোনকে দাফন করিনি। বাপের বাড়িতেই নিহত নাছরিন আকতারকে দাফন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টায় নিহতের শ্বাশুরালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নিহতের ১১ মাস বয়সী শিশুটি কখনো কাঁদছে, আবার কখনো খেলছে। সবেমাত্র আম্মু- আব্বু দুটি শব্দ উচ্চারণ করতে পারে। এই দুই শব্দ বার বার উচ্চারণ করছে শিশুটি। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, এখনো পর্যন্ত ঘটনার কোন রহস্য উদযাটন করতে পারেনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামীকে আটক করা হলেও পুলিশের কাছে স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করেনি। হত্যা মামলায় তাকে কোর্টের মাধ্যমে করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মাঠে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দলই নগর এলাকার মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে এক নারীর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে সকাল ১১ টায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেন। নিহত ওই নারীর নাম নাছরিন আকতার সূবর্ণা (২৫)। তিনি রাউজান পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের শায়ের মো. চৌধুরীর বাড়ির মৃত মোজাহারুল হকের ছেলে মো. মনছুর আলমের স্ত্রী ও ফটিকছড়ি উপজেলার জাহানপুর এলাকার দলিলুর রহমানের মেয়ে। শরীরে আঘাতের চিহ্নসহ গলার সাথে ওড়না পেছিয়ে ইটবাধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।