ডিসেম্বরের মধ্যে উন্নয়ন কাজে দৃশ্যমান অগ্রগতি চান সুজন

নগরীতে ঝটিকা পরিদর্শনে প্রশাসক: নালা-খালে আবর্জনা ফেলছে দেখে ক্ষোভ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন একাধিকবার অনুরোধ করার পরও নগরীতে কিছু মানুষ অবিবেচকের মত যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মী-সেবকরা নগরীর কোন এলাকায় ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে আসলে, ঘন্টা খানেক পর দেখা যায় সেই খানে আবারও ময়লার স্তুপ। এটা কখনো কাম্য হতে পারে না। নগরবাসীর মাঝে নাগরিক সচেতনতা সৃষ্টি না হলে চট্টগ্রাম শহরকে পরিচ্ছন্ন, মানবিক ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। তিনি আজ মঙ্গলবার সকাল ৮ টায় বেশ কিছু স্থানে ঝটিকা পরিদর্শন করেন। যেসব স্থান পরিদর্শন করেন সেগুলো হলো জিইসি মোড়, প্রবর্ত্তক মোড়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, মেহেদিবাগ, চকবাজার মোড়। এসব এলাকা পরিদর্শনকালে প্রবর্ত্তক মোড়ে এসে প্রশাসক খালে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়েছে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তখন দেখা যায় মেডিকেল কলেজ এলাকা, জিইসি মোড়, চকবাজার এলাকার দোকান-পাটের সামনে সড়কের ওপর যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে। এসময় তিনি পথচলতি মানুষের সাথে কথা বলে, তাদের এসমস্ত আবর্জনার স্তুপ দেখান। প্রশাসক বলেন যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেললে নগরীর সৌন্দর্য্য- পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার হানি ঘটে। বিশেষ করে নালা-খালে আবর্জনা ফেললে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়। তাই প্রত্যেক নগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান থাকবে চট্টগ্রাম নগরী আমার-আপনার শহর। তাই এই শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে কর্পোরেশনের পাশাপাশি আপনাদের দায়িত্ব রয়েছে। তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা নির্দিষ্ট থলে (ব্যাগ) বা বীনে ময়লা আবর্জনা সংরক্ষণের পর তা কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট ডাষ্টবিনে ফেলবেন। এতেকরে আপনার এলাকা ও বসবাসের স্থান দূষণমুক্ত থাকবে। আশাকরি চসিকের এই আহ্বানে আপনারা সাড়া দিবেন।

মশা নিধনে মাদারবাড়িতে সুজনের হানা

মশার উপদ্রব বাড়ায় চট্টগ্রম সিটি কর্পোরেশনের নালা খাল পরিস্কারের পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশক নিধনে ওষুধ ছিটাচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশেনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন নিয়মিত বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর রাখার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারলে ছুটে যান ওই এলাকার সমস্যা সমাধানে। তিনি মঙ্গল বার বিকেলে সদরঘাট ইসলামিয়া কলেজ মোড় থেকে পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের পুরো এলাকা হেঁটে নালা অলিগলিতে মশা নিধনে এডাল্টিসাইট ও ফগার মেশিনের সাহায্যে ওষুধ ছিটান।
এসময় এলাকাবাসীর উদ্দ্যেশ্যে বলেন শীতকাল হচ্ছে শুষ্ক মৌষুম। এসময়ে ধুলাবালি ও মোশার উপদ্রব বাড়ে। এতে করে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, জ্বরসহ এলার্জি জনিত বিভিন্ন রোগবলাই দেখা দেয়। অপরদিকে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সংক্রামন বেড়েছে। শীতজনিত রোগবালাই ও করোনা দুইয়ে মিলে জনস্বাস্থ্য যাতে ঝুঁকিপূর্ণ না হয় সে লক্ষ্যে কর্পোরেশন নিয়মিত ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছে। নগরবাসীকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে আপনাদের চারপাশ পরিষ্কার থাকে। তাহলেই মশার উপদ্রব ও করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। এ সময় পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আতাউল্লাহ চৌধুরী, কর্পোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তঅ প্রনব সাহা, স্থানীয় রাজনৈতিক মো. সানাউল্লাহ, মো. সাজ্জাদ হোসেন, জাহেদ আহমেদ চৌধুরী, রকিবুল আলম সাজী, মাহবুবুল আলম জনি, আবু তারেক রনি, ফয়সাল সাব্বির, রাকিবুল আলম, ইবনে বিন জামান ডায়মন্ড, আনিসুর রহমান তারেক, সৈকত বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চলতি মাসের মধ্যে উন্নয়ন কাজে দৃশ্যমান অগ্রগতি চান প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পারেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজনের সাথে আজ মঙ্গলবার সকালে নগরীর টাইগারপাস কর্পোরেশন অফিসে তাঁর দপ্তরে নগরীতে চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নগরীতে যেসব উন্নয়ন কাজ চলমান তা চলতি মাসের মধ্যে যাতে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয় সে ব্যাপারে ঠিকাদারদের তাগিদ দিতে বলেন প্রশাসক। তিনি যেসব ঠিকাদার কার্যাদেশ অনুসারে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে গুণগতমান অক্ষুণ্ন রেখে কাজ শেষ করতে পারবেনা তাদের বিরুদ্ধে প্রধান প্রকৌশলীকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেন।
সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পারেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৗশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম, আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব বড়ুয়া, অসীম বড়ুয়া, শাহীনুল ইসলাম খান, আবু সাদাত মো. তৈয়ব, ফরহাদুল আলম, ফারজানা মুক্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ প্রকাশের জের প্রবর্তক মোড়ে রূপালী গীটার দেখতে গেলেন প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন আজ (৮.১২.২০) তারিখে দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশে “ধূলোয় ধূসর রূপালী গীটার” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জেরে আজ মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকা পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তিনি রূপালী গীটার স্থাপনের স্থান প্রবর্তক মোড়ের গোল চত্ত্বরে কর্পোরেশনের সৌন্দর্য্য বর্ধন কার্যক্রমের আওতায় করা বাগানের অবস্থা প্রত্যক্ষ করেন।
এসময় তিনি নগরবাসীর চলাচলের এই ব্যস্ততম সড়কের বর্তমান অবস্থা প্রত্যক্ষ করে বলেন, এই সড়ক সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে। যে কারণে সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই মোড়ের নীচু ব্রিজটি ভেঙ্গে উচুঁ ও নতুন করে আবার তৈরি করেছে। সড়কের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। খোয়া ম্যাকাডম ফেলে রোলার দিয়ে সমান করা হয়েছে। কার্পেটিংয়ের পর এই সড়কে আর ধূলোবালি থাকবেনা। প্রশাসক নগরীতে সৌন্দর্য্যবর্ধনে যেসব কাজ করা হয়েছে ও চলমান আছে তা কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত তদারকি ও দেখভাল করার পাশা পাশি রাস্তার মিড আইল্যান্ড ও যেসব স্থানে সৌন্দর্য্যবর্ধনে ফুল গাছ লাগানো হয়েছে সেখানে প্রতিদিন পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চসিকের নগর পরিকল্পনা শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মাকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন সৌন্দর্য্যবর্ধনে শুধু বিভিন্ন প্রজাতীর ফুল গাছ, পাতাবাহার গাছ লাগালেই হবে না। পরিচর্যা, নিয়মিত পানি দিয়ে এসব গাছের সৌন্দর্য্য যাতে দর্শনার্থী ও নগরবাসী উপভোগ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

জাকির হোসেন হোমিওপ্যাথিক কলেজে প্রশাসক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ডা. জাকির হোসেন হোমিওপ্যাথিক সিটি কর্পোরেশনে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির এক সভায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ফিরিঙ্গী বাজারস্থ কলেজ ক্যাম্পসে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ¦ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন। সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল আমিন, উপাধ্যক্ষ এম এইচ আর রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ফরহান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক জাকির হোসেন হোমিওপ্যাথিক কলেজকে আদর্শ শিক্ষালয় হিসাবে গড়ে তুলতে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি কলেজের যেকোন প্রয়োজনে ও সমস্যার সমাধানে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে সহায়তা নিতে বলেন।