যে ফতোয়া জারি করেছে তা মানবতা বিরোধী

কিছু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পবিত্র ধর্মকে অপব্যবহার করে যে ফতোয়া জারি করেছে তা মানবতা বিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেলে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা মহানগর আওয়ামী লীগের মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করেছি। কিছু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী পবিত্র ধর্মকে অপব্যবহার করে ফতোয়া জারি করছে যা মানবতা বিরোধী। এরকম পরিস্থিতির আমরা সম্মুখীন হয়েছিলাম ১৯৭১ সালে।

তিনি বলেন, সেদিন আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে এই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। এই বাংলার মাটিতে ধর্মের নামে কোন অপশক্তিকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।

সভায় আগামী ৯ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় আন্দরকিল্লা চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ এবং সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বিক্ষোভ মিছিলে নগরের প্রতিটি ওয়ার্ড এবং থানা থেকে স্ব স্ব ব্যানার নিয়ে যথাসময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যোগদানের আহ্বান জানান তিনি।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চসিক নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী লড়াই ও দ্রোহে চট্টগ্রাম মহানগর মহানগর আওয়ামী লীগ সামনের কাতারে ছিল এবং থাকবেই। আমাদের রক্ষা কবচ সাংগঠনিক ভিত্তি। তাই তৃণমূল থেকেই যারা উঠে আসবেন তারাই আমাদের দলের সম্পদ। আমরা যারা এখন নেতৃত্বে আছি তাদেরকে পরিচর্যা করব।

সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। নগরের ৭টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন। অলংকার মোড়, বড়পোলস্থ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য চত্বর, বহদ্দারহাট মোড়, অক্সিজেন মোড়, ইপিজেড চত্বর, কর্ণফুলী নতুন ব্রীজ ও দেওয়ানহাট চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল কুমার সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এম জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক।