মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তভূক্তির জন্য ঘুরচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা রতন দে

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ রাউজান উপজেলার ২নং ডাবুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কেউকদাইর এলাকার কালী চরনের বাড়ীর বাসিন্দ্বা রতন দে অভিযোগ করে বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমার ভাই অজিত দে, আমার খুড়া হরিলাল দে, আমার জেঠাত ভাই অনিল দে, ও সুনিল দে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায় ।

ভারতের হরিনায় সন্ত্রাসীর হাতে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহার কান্তি বিশ^াস মন্টুর নেতৃত্বে যুদ্ধের প্রশিক্ষন গ্রহন করি। আমি মুক্তিযুদ্বে অংশ গ্রহন করার সংবাদ পেয়ে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা আমার ও আমার জেঠা, আমার খুড়ার ঘর বাড়ী মালামাল সহ নিলামে বিক্রয় করে দেয় । ফয়েজ আহম্মদ ও কবির আহম্মদ আমাদের ভসত ভিটা দখল করে নেয় । যুদ্ব চলাকালীন সময়ে আমি রাউজান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের সাহানগর এলাকার মুক্তিযোদ্বা মরহুম ফিরোজ আহম্মদ, সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত মুক্তিযোদ্বা নিহার কান্তি বিশ^াস মন্টুর নেতৃত্বে পাকাহানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের সাথে যুদ্ব করি। যুদ্ব শেষে দেশ স্বাধীন হলে দেশে ফিরে এসে তৎকালীন ডাবুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদক প্রয়াত সাধন কুমার ধরের সহায়তায় আমার বসতভিটা ফিরে পায় । মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করার সর্ম্পকির্ত একটি সনদ ছিল। স্বাধীনতার পর দেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আবারো সক্রিয় হয়ে উঠলে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে নির্যাতনের ভয়ে মুক্তিযুদ্ধের দেওয়া সনদ ছিড়ে ফেলে দিয়েছি । আমি একজন মুক্তিযোদ্বা হিসাবে মুক্তিযোদ্বা তালিকায় অন্তভুক্ত হওয়ার জন্য গত ২৭ জানুয়ারী রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জোনায়েদ কবির সোহাগের কাছে আবেদন করেছি । এখনো আমাকে মুক্তিযোদ্বার তালিকায় অন্তভুক্ত করা হয়নি । স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলে ও রতন দে মুক্তিযোদ্ধা অংশ গ্রহন করে ও তালিকায় অন্তভুক্ত হয়নি বলে রতন দে অভিযোগ করেন ।