মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল সিংহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরবিদায়

 

শফিউল আলম,রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
করোনায় মৃত্যুবরণ করা নূতন চন্দ্রের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল সিংহ (৮১) কে রাষ্ট্রীয় মার্যদায় সম্মান জানানোর পর শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল ৪ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় রাউজান পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের গহিরা গ্রামের কুণ্ডেশ্বরী এলাকায় রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগের উপস্থিতিতে পুলিশ সদস্যরা রাষ্ট্রীয় মর্যদায় সম্মান জানান। মুক্তিযোদ্বা প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহের মরদেহ গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ তাদের এ্যম্বুলেন্সে করে তার বাড়ীতে নিয়ে এসে তার মরদেহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে সৎকার কাজে সহায়তা প্রদান করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক, মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন, সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রফুল্ল সিংহ মারা যান। কিডনি, হার্টের রোগে আক্রান্ত প্রফুল্লের কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। জানা যায়, যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন প্রফুল্ল। ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল সকালে রাউজানের গহিরার কুন্ডেশ্বরীতে নিজ বাড়ির মন্দিরের সামনে হত্যা করা হয় তার বাবা দানবীর নূতনচন্দ্র সিংহকে। পাকিস্তানি পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের নিজেই নূতনচন্দ্র সিংহকে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্বা প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, দুই কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা প্রফুল্ল সিংহের মৃত্যুতে পুরো রাউজানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যথাযোগ্য মার্যদায় উনাকে দাহ করা হয়েছে।