৪৯ টন কেমিক্যাল ধ্বংসের জন্য সিলেটে নেওয়া হচ্ছে

দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের পি-কেমিক্যাল শেডে এক যুগ ধরে পড়ে থাকা ৪৯ টন কেমিক্যাল ধ্বংসের জন্য সিলেটে নেওয়া হচ্ছে।  বুধবার (২ ডিসেম্বর) কাস্টম হাউস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এসব বিপজ্জনক পণ্যসামগ্রী ৪টি কাভার্ডভ্যানে ভরে ধ্বংসস্থলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ধ্বংস কার্যক্রমের জন্য পণ্যগুলো সুনামগঞ্জের ছাতকে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের কারখানায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই রোববার (৬ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।
৫৩ লটের এ চালানে রয়েছে সোডা অ্যাস, ফসফেরিক এসিড, ফুড ফ্লেভার, বেভারেজ, পারফিউম, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, লুব্রিকেন্টস ইত্যাদি। এর মধ্যে ২৫টি চালানের ১৬ টন পণ্য বিভিন্ন সময়ে মোট ৩ বার নিলামে তোলা হয়। কিন্তু কোনো বারই দরমূল্য পাওয়া যায়নি। বাকি ২৮টি চালানের ৩৩ টন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইনভেন্ট্রি করা হলে সেগুলো ধ্বংসের জন্য সুপারিশ করা হয়।

সূত্র জানায়, লাফার্জ হোলসিম কর্তৃপক্ষ ধ্বংস কার্যক্রমের বিপরীতে কাস্টম হাউস থেকে চার্জ আদায় করবে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান জানান, প্রায় ৪৯ টন তরল ও পাউডার জাতীয় কেমিক্যাল ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ ৪ কাভার্ডভ্যান পণ্য সিলেটে নেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল বাকি পণ্য নেওয়া হবে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী এসব কেমিক্যাল ধ্বংস করা হবে।