দেশে আইনের শাসন নেই, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবিদের ভূমিকা রাখতে হবে

দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে আইনজীবীদের বিএনপিতে যোগদান ও মতবিনিময় সভায়-ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশে আইনের শাসন নেই,আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবিদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখতে হবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললেই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই সরকার একটি মামলাবাজ সরকার। এই সরকার কালো আইনের মাধ্যমে বিরোধী দলের মতকে দমন করছে।আওয়ামী সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের উপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। যার কারণে আওয়ামীলীগ জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। চারদিকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর দখলদারে ভরে গেছে দেশ। কারো কোন কথা বলার অধিকার নেই, সভা-সমাবেশের সুযোগ নেই। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে দেশের স্বাধীনতা,গণতন্ত্র এখন হুমকির মুখে। যার কারণে জনগণ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জনগণ এখন বিএনপির দিকে থাকিয়ে আছে, বিএনপিই আশা আকাঙ্কার প্রতীক হিসাবে দেশের এই দূর্দিনে জনগণের পাশে আছে । এই ফ্যাসিস্ট সরকারে বিরুদ্ধেও গণআন্দোলনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ঐক্যের বিকল্প নেই। তি‌নি আজ বুধবার ২ ডিসেস্বর বিকালে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে আইনজীবিদের বিএনপিতে যোগদান ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অ‌তি‌থির বক্ত‌ব্যে উপ‌রোক্ত বক্তব্য রা‌খেন। প্রধান বক্তার বক্ত‌ব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সাধারণ সম্পাদক আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ছেন,আওয়ামী সরকারে শতনিপীড়ন, নির্যাতনের পরও বিএনপির নেতাকর্মীরা দল ছেড়ে যায়নি। বরং বিএনপির কর্মী সমর্থক এবং জনসমর্থন বেড়েছে। ওবায়দুল কাদের সব সময় বলে আসছে বিএনপিকে জনগণ প্রত্যাখান করেছে। তার এ কথা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। একমাত্র আওয়ামীলীগ ছাড়া সবাই জানে বিএনপির বিপুল জনপ্রিয়তার কথা। কিন্তু আওয়ামীলগি জানে না, কারণ তাদের সাথে জনগণের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। যার কারণে এখনো মানুষ বিএনপিতে যোগদান করছে, অন্য দল থেকে বিএনপির আদর্শে উজ্জীবিত হচ্ছে। যদি আওয়ামী লীগ সত্যিকারের জনগণের দল হয়ে থাকে তাহলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখুক। আইনজীবীদের যোগদান ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা জেলী চৌধুরী, আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট নিলুফার ইয়াছমিন লাভলী, এডভোকেট আশরাফী বিনতে মোতালেব, অ্যাডভোকেট কাজী কামরুল নেছা, এডভোকেট মাশকুরা বেগম মেরী, এডভোকেট আবিদা সুলতানা, এডভোকেট জান্নাতু ন্নেছা সুমি , এডভোকেট আয়েশা আক্তার সানজি, এডভোকেট বিলকিস আরা মিতু, এডভোকেট আসমা খানম, জিয়াউল হক সম্রাট, জহির উদ্দিন বাবার মহিলাদল নেত্রী তাসলিমা বেগম, জোহরা খাতুন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।