জামায়াত-হেফাজতের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক-সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তিকারীদের বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃত্বে সারাদেশে অনুষ্ঠিত একযোগে মানববন্ধন ও সমাবেশের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে বক্তারা বলেছেন, বিশ্বের সকল মুসলিমপ্রধান দেশে শত শত ভাস্কর্য আছে ইতিহাসের মহানায়কদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পাশাপাশি নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য। এমনকি যে সব ইসলামিক দেশে শরিয়া আইন রয়েছে সেখানেও ভাস্কর্য আছে। মোল্লা উমরের আফগানিস্তান ছাড়া সেসব দেশে কেউ কখনও ইসলামের দোহাই দিয়ে ভাস্কর্য ভাঙেনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অনাহূত বিতর্কের সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, সরকারের সরলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না, জনগণের শান্তি বিনষ্টের যেকোনো অপচেষ্টা জনগণই রুখে দাঁড়াবে। দেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সংবিধান এবং রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বক্তব্য বরদাশত করা হবে না।
গতকাল ১ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও স্বাধীনতা সংগ্রামী মানিক চৌধুরীর সন্তান, সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি দীপংকর চৌধুরী কাজলের সভাপতিত্বে ও কার্যকরি সাধারণ সম্পাদক অলিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার।
অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন-উত্তর জেলা জাসদ সভাপতি ভানু রঞ্জন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেবনাথ, সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম জাবেদুল আলম সুমন, আবু সাদাত মো. সায়েম, আবদুল মান্নান শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন চৌধুরী, মিথুন মল্লিক, মো. সাহাব উদ্দিন, অসিত বরণ বিশ্বাস, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সূচিত্রা গুহ টুম্পা, সহ-প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, প্রকাশনা সম্পাদক মনজুর হোসাইন, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোজাহেরুল আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজীব চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য আখতার হোসেন, দিপু বড়ুয়া, রুবেল কুমার শীল, চান্দগাঁও থানা কমিটির সহ-সভাপতি জানে আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুদ্দীন, চবি সাবেক ছাত্রনেতা আরাফাতুল মান্নান ঝিনুক, ছাত্র সংগঠক ফাহিম আল শাহরিয়ার, ইমন শীল, মো. জামশেদুল ইসলাম চৌধুরী, আরাফাত মঈনউদ্দীন, সালাউদ্দীন চৌধুরী রকি, রিপন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, নাছির কাদের চৌধুরী, ইসমাইল চৌধুরী, রাহুল দাশ, সৈকত দাশ গুপ্ত, মো. মোশাররফ হোসেন, জয়নুদ্দীন আহমেদ জয় প্রমুখ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে দেলোয়ার মজুমদার সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, অবিলম্বে জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের সংবিধান অবমাননাকারী মামুনুল-বাবুনগরী গংকে গ্রেফতার করতে হবে এবং করোনা মহামারীকালে স্বাস্থ্যবিধি লংঘনকারী সবরকম সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। ধর্মের পবিত্রতা রক্ষার জন্য এবং ধর্মের নামে যাবতীয় হত্যা ও সন্ত্রাস বন্ধের উদ্দেশ্যে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে লেখা সংবিধানে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বপ্রদানকারী তাঁর সহযোগীরা ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। আমাদের দাবি, অবিলম্বে বাংলাদেশে জামায়াত-হেফাজতের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক-সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

ক্যাপশান : বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তিকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার।