ফোন আত্মসাৎ করে পুলিশের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা

আকবরশাহ এলাকায় মোবাইল ফোন আত্মসাৎ করে পুলিশের উপর দায় চাপিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে কয়েকজন যুবক। তারা আকবরশাহ থানাধীন সিটি গেইট চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা মোবাইল ফোন নিয়ে ফেলেছে দাবি করে পুলিশ সদস্যদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে।

তাদের দাবি ছিল, শনিবার যাওয়ার পথে চেকপোস্টে দায়িত্বরত সদস্যরা জাবেদ হোসেনকে মারধর করে তার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে।

রোববার সকালে তাদের আরেক সদস্য রিপন জাবেদ হোসেনকে নিয়ে চেকপোস্টে এসে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কাছে মোবাইল ফেরত চান। রিপন পুলিশ সদস্যদের হুমকি দেন, যদি মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়া না হয় তা পুলিশের আইজিপিকে জানানো হবে।

রোববার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি তাৎক্ষণিক সিনিয়র অফিসারদের জানালে শনিবারের চেকপোস্টে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে। তখন মোবাইল নিয়ে ফেলেছে দাবি করা যুবককে চেকপোস্টে দেখতে পাওয়া যায়নি।

পরে জাবেদ হোসেনকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জাবেদ হোসেন স্বীকার করেন, তার কাছ থেকে কোনো পুলিশ সদস্য মোবাইল ছিনিয়ে নেননি।

তবে পুলিশের কাছে জাবেদ হোসেন দাবি করেন, তার পূর্ব পরিচিত কয়েকজন যুবক একে খান এলাকা থেকে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয়। শাহজাহান নামে একজন তাকে মোবাইলটি দিয়েছিল লক খোলার জন্য।

পুলিশ জানিয়েছে, গত দেড় মাস আগে ওই মোবাইল ফোনটি আরেক যুবকের কাছ থেকে হারিয়ে যায়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) এএএম হুমায়ুন কবীর জানান, শনিবার চেকপোস্টে পুলিশ সদস্যরা মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে দাবি করে রিপন ও জাবেদ নামে দুই যুবক পুলিশের কাছে মোবাইল ফেরত চান। রিপন পুলিশ সদস্যদেরকে হুমকিও দেন। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি তারা নাটক সাজিয়েছে পুলিশকে ফাঁসানোর জন্য।

তিনি বলেন, তারা মনে করেছিল- যদি পুলিশের উপর দায় চাপানো যায় তাহলে তারা বেঁচে যাবে। এবং পুলিশ চাপে পড়ে নতুন একটি মোবাইল কিনে দেবে বা টাকা দেবে। এমন ভাবনা থেকে তারা নাটকটি সাজিয়েছে।

এএএম হুমায়ুন কবীর বলেন, এ ঘটনায় জড়িত জাবেদ ও রিপনকে আটক করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে জড়িত অন্যদের আটক করে মোবাইলটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

আটক দুইজন হলো- সীতাকুণ্ড থানাধীন ইমামনগর কেন্দুয়াপাড়া এলাকার মো. সেকান্দারের ছেলে মো. জাবেদ হোসেন (২০) ও জঙ্গল সলিমপুর সিডিএ আবাসিক এলাকার মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. রিপন (৩২)।

পুলিশ কর্মকর্তা এএএম হুমায়ুন কবীর বলেন, পুলিশকে ফাঁসানোর চেষ্টায় আটক যুবকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।