রাউজানে বকনা বাছুর ও সার-বীজ বিতরণ কৃষক

শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের রাউজানে বসবাসরত তিন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে উন্নত জাতের ক্রসব্রীড বকনা বাছুর এবং কৃষকদের মাঝে সার-বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাউজান উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বাছুর ও সার-বীজ বিররণ করেন রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, এসিল্যান্ড আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহম্মেদ, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার সুশীল প্রমূখ। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির আর্থ সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের জন্য প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে তিন সুফলভোগীর মাঝে বকনা বাছুরসহ গোয়ালঘর নির্মাণের জন্য ৭ হাজাার টাকা এবং খাদ্য বিতরণ করা হয়। এছাড়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৩শ’৭০জন কৃষকের জন্য বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। ১২০ জন কৃষকের জন্য ১২০ কেজি বোরো হাইব্রীড ধানের বীজ, ১০ জনের জন্য ২০০ কেজি গম, ৪০ জনের জন্য ৮০ কেজি ভূট্টা, ২০ জনের জন্য ২০ কেজি সরিষা, ২০ জনের জন্য ১০০ কেজি শীতকালিন মুগ বীজ বিতরণ করা হয়। একই সাথে ২২০ জনের জন্য ৫২ ব্যাগ ডিএপি ও ৪১ ব্যাগ এমওপি রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। পরে ১১৫০ জনের জন্য বোরো হাইব্রীড (এসএল-৮এইচ) ও এসিআই-১/২ বীজ বিতরণ করা হয়। রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, কৃষক বাঁচলে আমরা বাঁচব। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। রাউজানের এক ইঞ্চি মাটিও অনাবাধি রাখা যাবে না। আমি চাই, রাউজান খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণ হোক। তিনি আরও বলেন, কৃষকরা মাঠ পর্যায়ের সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সেবা পাচ্ছে না। উপজেলায় অভিযোগ বক্স রাখা হবে, কৃষকরা যাতে যে কোন অভিযোগ দিতে পারেন। অভিযোগ পাওয়া সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষি জমি রক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।