টাওয়ার কোম্পানির লাইসেন্স ফি ছাড় চায় সামিট

দেশে নতুন খাত হিসেবে টাওয়ার ব্যবসার লাইসেন্স ফি’কে চাপ মনে করে তাতে ছাড় চাইছে সামিট গ্রুপ।

বাংলালিংকের ২৫৯টি টাওয়ার তৈরিতে সামিট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান সামিট টাওয়ার্সের সঙ্গে চুক্তি অনুষ্ঠানে এই ছাড়ের দাবি তোলেন সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান।

বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, দেশে নতুন এই খাতে ব্যাপক ইনভেস্টমেন্ট করতে হয়েছে। ব্যবসা শুরুর আগেই যদি ২৮ কোটি টাকার চাপ থাকে তাহলে কীভাবে তারা এগুবেন।

এই খরচের চাপ হতে ছাড় দিতে মন্ত্রীর কাছে দাবি জানান তিনি।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, সামিটের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আষ্টেপৃষ্টে, টাওয়ার তৈরি, হাইটেক পার্ক, এনটিটিএনসহ আরও কাজে।

ফি ছাড়ের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নিজের ক্ষমতার মধ্যে, নিজের কাছে থাকতো তাহলে ফিস নিয়ে অনেক বেশি সহানুভূতিশীল থাকতাম। আমি কষ্ট ‍বুঝি কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় পর্যন্ত বিষয়টি নিতে পারি না। অর্থ মন্ত্রণালয় দেখে রাজস্ব কমে যাচ্ছে।’

‘কার্যক্রম শুরু করার আগে অনেক বেশি লাইসেন্স ফিসহ ২৮ কোটি টাকা বাড়তি বোঝা হিসেবে কাজ করেছে। উপার্জন করা শুরু করেছেন তখন দুই পয়সা বেশি চাওয়া হলে তা যুক্তিসঙ্গত কাজ হতো।’ বলছিলেন মোস্তাফা জব্বার।

এ সময় বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের চেয়ারম্যান ও ভিয়ন-এর গ্রুপ সিইও সার্গে হেররো বলেন, সামিটের সাথে এই চুক্তির ফলে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে নতুন গতির সঞ্চার হবে।

সামিট টাওয়ার্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও আরিফ আল ইসলাম বলেন, এক দশক আগে সামিটের ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক এবং গেটওয়ে স্থাপনের মাধ্যমে টেলিকম অবকাঠামো উন্নয়নখাতে প্রবেশ করে এবং এখন তাতে টাওয়ার অবকাঠামো নির্মাণ নতুন করে পোর্টফোলিওতে যুক্ত হলো। জাতীয় পর্যায়ে আসন্ন ফাইভজি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এটি একটি অনন্য সুযোগ।

বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, সামিটের অবকাঠামো-সহায়তা বাংলালিংককে নিশ্চিতভাবে আগামীতে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ আফজাল হোসেন,বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবীর, সামিট গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান ফরিদ খান, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, সামিট গ্রুপের পরিচালক ফাদিয়া খান উপস্থিত ছিলেন।

সামিট টাওয়ার্স বিল্ড-টু-স্যুট ভিত্তিতে ২৫৯টি বাংলালিংকের টাওয়ার নির্মাণ করবে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ এই ২৫৯টি টাওয়ার স্থাপন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তারা।