নকল চিপসের কারখানায় তৈরী হচ্ছে নানা শিশু খাদ্য

নিয়মরীতির কোন তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে তৈরী করছে শিশুদের বাহারী লোভনীয় পণ্য। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও পশ্চিম শোলকাটা ভন শাহ্ মাজারের পাশে সাইনবোর্ড বিহীন নকল চিপসের কারখানায় তৈরী হচ্ছে চিপস, ডাল ভাজা, চানাচুরসহ বিভিন্ন পণ্য। যেখানে কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সবাই শিশু- নারী শ্রমিক।

উপজেলার ব্যস্ততম শাহ্ মোহছেন আউলিয়া হাজীগাঁও সড়কে পাশে গড়ে উঠেছে চিপস তৈরীর কারখানা। প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে লাইসেন্স বিহীন কারখানায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে আটা, ময়দা, রং এবং বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরী করছেন নকল চিপসসহ বিভিন্ন পণ্য। কারখানার ভেতরে শিশু ও নারী শ্রমিকরা অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে প্যাকিংয়ের কাজ করছেন। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কালারের রং এর পাত্র, সোডা, ক্ষতিকার কেমিক্যাল ও মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক এ্যামুনিয়া জাতীয় পদার্থ। শ্রমিকরা খালি গায়ে ঘাম ঝড়ানো শরীরে কাজ করছেন। এখানে বাহারী রকমের নামীদামী কোম্পানীর মোড়কের নাম ব্যবহার করে শিশু ও নারীদের দিয়ে তৈরী হচ্ছে চিপস, ডাল, মটরভাজা ও চানাচুরসহ শিশুদের লোভনীয় খাবার পণ্য। আর এসব পণ্য গুলো পাহাড়তলী হালিশহরের মো. আবদুল্লাহ্ আল মাসুদ নামে এক ব্যক্তির মেসার্স রাহা এন্টারপ্রাইজে ঠিকানা ব্যবহার করে নিয়ে যান রাতের আঁধারে বা দিন দুপুরে ট্রাকে করে। তবে কারখানার মালিক বা শ্রমিক কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?guci=2.2.0.0.2.2.0.0&client=ca-pub-1579905248177546&output=html&h=300&slotname=9399504411&adk=1163118312&adf=3420330122&pi=t.ma~as.9399504411&w=360&ebfa=1&lmt=1606313504&rafmt=1&psa=0&format=360×300&url=https%3A%2F%2Fwww.bhorerkagoj.com%2F2020%2F11%2F25%2F%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%2595%25e0%25a6%25b2-%25e0%25a6%259a%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25aa%25e0%25a6%25b8-%25e0%25a6%25a4%25e0%25a7%2588%25e0%25a6%25b0%25e0%25a7%2580-%25e0%25a6%25b9%25e0%25a6%259a%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%259b%25e0%25a7%2587-%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25a8%25e0%25a7%258b%25e0%25a7%259f%25e0%25a6%25be%2F&flash=0&fwr=1&fwrattr=true&rpe=1&resp_fmts=3&sfro=1&wgl=1&tt_state=W3siaXNzdWVyT3JpZ2luIjoiaHR0cHM6Ly9hZHNlcnZpY2UuZ29vZ2xlLmNvbSIsInN0YXRlIjowfSx7Imlzc3Vlck9yaWdpbiI6Imh0dHBzOi8vYXR0ZXN0YXRpb24uYW5kcm9pZC5jb20iLCJzdGF0ZSI6MH1d&dt=1606313504246&bpp=4&bdt=20606&idt=533&shv=r20201112&cbv=r20190131&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&prev_fmts=0x0%2C360x90%2C360x300&nras=1&correlator=6379079855832&frm=20&pv=1&ga_vid=2092416293.1606313484&ga_sid=1606313505&ga_hid=1990896192&ga_fc=0&iag=0&icsg=35750949855918&dssz=49&mdo=0&mso=0&u_tz=360&u_his=1&u_java=0&u_h=780&u_w=360&u_ah=780&u_aw=360&u_cd=24&u_nplug=0&u_nmime=0&adx=0&ady=2015&biw=360&bih=649&scr_x=0&scr_y=687&eid=21066973&oid=3&pvsid=2063040329793410&pem=282&ref=http%3A%2F%2Fm.facebook.com%2F&rx=0&eae=0&fc=1924&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C360%2C0%2C360%2C649%2C360%2C649&vis=1&rsz=%7C%7CeEbr%7C&abl=CS&pfx=0&fu=8320&bc=31&ifi=3&uci=a!3&btvi=1&fsb=1&xpc=bf4c6oC5p3&p=https%3A//www.bhorerkagoj.com&dtd=551

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি এসব চিপস খেলে শিশুদের নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে টিনসিটের একটি ঘরে গড়ে তুলেছেন চিপস তৈরির কারখানা। অবৈধ এ চিপস তৈরির কারখানা প্রশাসন দেখেও যেন কিছু দেখছে না। এ পর্যন্ত কোনো আইনি ব্যবস্থাও নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এবিষয়ে মেসার্স রাহা এন্টারপ্রাইজে প্রোপ্রাইটর মো. আবদুল্লাহ্ আল মাসুদের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ডিলার আনোয়ারা ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে চিপস নিয়ে ব্যবসা করছি। আনোয়ারায় যারা করছে তাদেরও অনুমোদন আছে। সাইনবোর্ড বিহীন চিপস কারখানায় মালিক পরিচয়ে ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি মাসুদের ফোন থেকে হুমকি দিয়ে বলেন, আমাদের কি আছে কি নেই। সবি কি আপনাকে বলতে হবে। আপনার কিছু লাগলে এখানে এসে যোগাযোগ করেন। আমি স্থানীয় নেতা।

কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আনোয়ারা উপজেলা শাখার সভাপতি জাহেদুল হক বলেন, এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, নকল তৈরী চিপস শিশুরা খেলে লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। একটি কারখানা স্থাপন করতে প্রিমিসেস লাইসেন্স, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পরিবেশের ছাড়পত্র, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। এসকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে কারখানা স্থাপন করতে পারবেনা।