পচা ফল ও সবজি থেকে সৌরবিদ্যুৎ

পচা ফল ও সবজি থেকে সৌরবিদ্যুৎ তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ফিলিপাইনের মাপুয়া ইউনিভার্সিটি ম্যানিলার শিক্ষার্থী কার্ভি এহরান মেইগ। আর এই উদ্ভাবনের জন্য তিনি পেলেন জেমস ডাইসন অ্যাওয়ার্ড ফর গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি।

বিশ্বব্যাপী ৩০টির বেশি দেশের প্রকৌশলীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শেষে জেমস ডাইসন অ্যাওয়ার্ড দেয় দ্য জেমস ডাইসন ফাউন্ডেশন। এ বছর প্রথমবারের মতো দেওয়া হলো গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি বা বৈশ্বিক স্থায়িত্ব বিভাগে। ১ হাজার ৮০০টির বেশি জমা পড়া প্রকল্প থেকে কার্ভির ‘অরিয়াস’ নামের প্রকল্প বেছে নেন বিচারকেরা।

যাঁর নামে পুরস্কার দেওয়া হয়, সেই জেমস ডাইসন স্বয়ং বলেছেন, ‘অরিয়াস চমৎকার। কারণ, এটি নষ্ট ফসলের স্থায়ী ব্যবহার নিশ্চিত করবে। তবে আমি কার্ভির সমাধান এবং সংকল্পে বিশেষভাবে মুগ্ধ।’

দেয়াল বা জানালায় লাগালে কার্ভির তৈরি সোলার প্যানেল সূর্যালোক থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে

দেয়াল বা জানালায় লাগালে কার্ভির তৈরি সোলার প্যানেল সূর্যালোক থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে
ডাইসন

যেভাবে কাজটি করলেন

নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উৎস নিয়ে কাজ করেছেন কার্ভি। ফল ও সবজি থেকে কণা সংগ্রহ করে রজনের স্তরে ডুবিয়ে সোলার প্যানেল তৈরি করেছেন। সে প্যানেলগুলো জানালা কিংবা ভবনের দেয়ালে লাগিয়ে দিলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নিয়ে বিদ্যুতে রূপান্তর করবে। সাধারণ সোলার প্যানেলের সঙ্গে পার্থক্য হলো, কার্ভির তৈরি প্যানেলগুলো সূর্যতাপ না পেলেও কাজ করে।

উদ্ভাবনের পেছনে কার্ভির অনুপ্রেরণা হলো নর্দার্ন লাইট বা অরোরা। পুরস্কারপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘জেমস ডাইসন পুরস্কার পাওয়া একই সঙ্গে শুরু আবার শেষ। আমার আইডিয়া বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় শেষ হলো এখানে। আর বিশ্বমঞ্চে অরিয়াস নিয়ে যাওয়ার হলো শুরু।’

পুরস্কারের অংশ হিসেবে কার্ভি পাচ্ছেন প্রায় ৪০ হাজার ডলার।

সূত্র: ম্যাশেবল