পিসি রোডকে জিম্মি করা চলবে না: সুজন

পোর্ট কানেক্টিং (পিসি) রোড চট্টগ্রামের লাইফ লাইন এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক স্থাপনা। এ সড়কের ওপর দেশের অর্থনৈতিক গতি ও অগ্রগতি নির্ভরশীল তাই সড়কটির নির্মাণকাজ নিয়ে টালবাহানা বা একে জিম্মি করা চলবে না।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সড়কটির উন্নয়নকাজ পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এ হুঁশিয়ারি দেন। ঠিকাদারদের কাজের গুণগতমান রক্ষা করে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন সুজন।

তিনি বলেন, এ সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে দীর্ঘসূত্রতা মানুষের বড় ধরনের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন বর্ষা মৌসুম যেহেতু শেষ বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। তাই কাজে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকারও কথা নয়।

সুজন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরমুখী এ সড়ক দিয়ে সব আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে। এ ছাড়া ইপিজেডের পরিবহনগুলোও এ সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করে। ফলে এর ধারণক্ষমতার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়। অদূর ভবিষ্যতে বে-টার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর বাস্তবায়ন হলে এ সড়কটির গুরুত্ব ও সড়কের ওপর চাপ বাড়বে। আন্তঃদেশীয় রিজিওনাল কানেক্টিভিটি কার্যক্রম এ সড়কের ওপর অনেকাংশ নির্ভরশীল।

গুরুত্ব বিবেচনায় নগরের এটা একমাত্র সড়ক যার ওপর নিভরশীল আমদানি-রফতানি খাত। তাই এর দায়-দায়িত্ব ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয় শুধু সিটি করপোরেশনের একার নয়। তাই এ জন্য বন্দর, কাস্টমস ও ইপিজেডগুলোর আয়ের একটি অংশ সার্ভিস চার্জ হিসেবে চসিকের প্রাপ্য।

তিনি আশা প্রকাশ করেন চসিককে সার্ভিস চার্জ প্রদানের প্রস্তাবনা আমলে আনা হবে।

প্রশাসক বলেন, পিসি রোডে ৩টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। যে ঠিকাদার যেখানে কাজ করছে সেখানে সে ঠিকাদারের সাইট অফিস রাখতে হবে।
তিনি ঠিকাদারদের কাজের কর্ম পরিকল্পনা এবং অগ্রগতির তথ্যসহ বোর্ড টাঙিয়ে রাখার এবং ধুলোবালিতে যাতে মানুষের দুর্ভোগ না হয় সেজন্য প্রতিদিন ৩ বেলা পানি ছিটানোর নির্দেশনা দেন।

এ সময় প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন সেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।