চূড়ান্ত বিশ্লেষণে ফাইজারের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ কার্যকর

ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন ৯৫ ভাগ কার্যকর ও সম্পূর্ন নিরাপদ। ভ্যাকসিনটির চূড়ান্ত বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এরফলে ভ্যাকসিনটির দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার রাস্তা পরিস্কার হয়ে গেলো। এ খবর দিয়েছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
খবরে জানানো হয়েছে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের এমআরএনএভিত্তিক ভ্যাকসিনটি এর সবগুলো নিরাপত্তার ধাপে পাশ করেছে। কোম্পানি দুটি জানিয়েছে, তারা এখন বাজারে ভ্যাকসিন ছাড়তে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানোর জন্য প্রস্তুত। ফাইজার ও এর জার্মান অংশীদার বায়োএনটেক গত সপ্তাহে জানিয়েছিল যে, তাদের ভ্যাকসিন শতকরা ৯০ ভাগ কার্যকর। এটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় বলে প্রচার হয়।
তবে এ সপ্তাহে আরো পরীক্ষার ফলাফল আসায় দেখা যায় এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকর। ফাইজার জানিয়েছে, তাদের টিকা বয়স্কদেরও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়া নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো গুরুতর উদ্বেগের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ১৭০ জন করোনা আক্রান্তকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পর এর কার্যকারিতা শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিনটি একটি প্লেসবো-স্যালাইন সলিউশনের মাধ্যমে তাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়। এর মধ্যে ১৬২ জনের আশানুরূপ ফলাফল দেখা যায়। সেই হিসেবে ভ্যাকসিনটির ৯৫ শতাংশ কার্যকরী নিশ্চিত করা হয়েছে।

কোম্পানিটি জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের কাছে ভ্যাকসিনের অনুমোদনের আবেদন করছে তারা। এতে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার পূর্ন ফলাফল হস্তান্তর করা হবে। এরইমধ্যে ভ্যাকসিনটির ৪ কোটি ডোজ অর্ডার করেছে বৃটেন। যার মধ্যে এ বছরই আসছে ১ কোটি ডোজ।