২৩ গুণী ব্যক্তিকে বিশেষ সাহিত্য পুরষ্কার দিলেন কলম সাহিত্য সংসদ

মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৯ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১৯ দিন ব্যাপী বই মেলা মঞ্চে আজ শুক্রবার কলম সাহিত্য সংসদ লন্ডন এর উদ্যোগে চট্টগ্রামের ২৩ গুণীজনকে সাহিত্য পুরষ্কার সম্মাননা প্রদান করে। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন সম্মাাননা প্রাপ্তদের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেন। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন গল্পকার দিপালী ভট্টচার্য,কথা সাহিত্যিক দেবাশীষ ভট্টচার্য, কবি সাংবাদিক শুকলাল দাশ, গল্পকার জাহেদ মোতালেব, মুক্তিযোদ্ধা কবি সাথী দাশ,সাংবাদিক আহসানুল কবির লিটন, শিশু সাহিত্যিক সাংবাদিক বিপুল বড়–য়া, শিশু সাহিত্যিক এমরান চৌধুরী, কবি জিল্লুর রহমান, কবিতায় ইউনুস ইবনে জয়নাল, আবদুল মান্নান, খোরশেদ আলম খোকন, মোহাম্মদ আবুল হোছাইন হেলালী, সাইফুর রহমান লিটন, মেহেরুন ইসলাম, শাহিন সরওয়ার, এইচ নুরী, আ ই সেলিম মল্লিক, হুসামুদ্দিন, করুনা আচার্য, দেওয়ান রশিদ তালুকদার ও সাদিকুল ইসলাম। এই উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে কলম সাহিত্য সংসদ লন্ডন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম হাবিবির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক দৈনিক জাগরণ এর সম্পাদক বরেণ্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক আবেদ খান এবং সংবর্ধিত ব্যক্তি ইস্পাহানী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া ইসলাম ও অধ্যাপিকা ফেরদৌস আরা আলিম বক্তব্য রাখেন। মঞ্চে বই মেলার আহবায়ক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ ও চট্টগ্রামের নাগরিক সমাজকে নিয়ে অনুষ্ঠিত বই মেলা চট্টগ্রামবাসীর যথেষ্ট সাড়া মিলেছে। এবারের মেলা সফল হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তারই প্রেক্ষিতে আগামীতে প্রতি বছর নির্ধারিত দিনে শুরু এবং নির্ধারিত দিনে শেষ হবে। মেয়র বলেন বিগত সময়ে চট্টগ্রামের প্রকাশকদের আক্ষেপ ছিল, চট্টগ্রাম পাঠকদের আভিযোগ ছিল ঢাকার আদলে চট্টগ্রামে একটি বই মেলা আয়োজনের। এই মেলার মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও মোচন হয়েছে। এখানে জাতীয় পর্যায়ে ঢাকা থেকে অনেক প্রকাশক এই মেলায় অংশ নিয়েছে। ঢাকার ৬০টি চট্টগ্রামের ৫০ টি মিলে সর্বমোট ১১০ টি বই স্টল আছে। অনেকে এই মেলায় আসার আগ্রহ প্রকাশ করলেও সীমাবদ্ধতার কারনে স্টল দিতে পারিনি বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইনশাআল্লাহ আগামী বছর আরো বৃহত্তর পর্যায়ে এই বই মেলা অনুষ্ঠানে তিনি কবি সাহিত্যিক বুক্তিজীবী, অনুবাদক, প্রারম্ভিক, লেখকদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে দৈনিক জাগরণ এর সম্পাদক বরেণ্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক আবেদ খান বলেন বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এখন চমৎকার সময়। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী কয়েক বছর পর স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে। এ আয়োজনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন একজন রাজাকার সেই কখনো মুক্তিযোদ্ধা হবে না। কাজেই যে রাজাকার তাকে চিনতে হবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করব,রাজারের তালিকা করব না-তা হতে পারে না। অর্থাৎ আমাদেরকে একটি জায়গার খুব স্পষ্ট হতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে, সরকারের সমালোচনা হবে। মুল জায়গা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এর পরিপ্রেক্ষিতে হতে হবে। এই চেতনার বিকৃতি কখনো সহ্য করা হবে না। এই চেতনাকে ধরে রাখতে পারলে আমাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন। অনুষ্ঠানে পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ডে নিহদের স্মরনে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।