নাগরিক সেবা নিশ্চিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি : সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আমি সাময়িক সময়ের জন্য কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছি। ১২’শ কোটি টাকার দেনার বোঝা নিয়ে কর্পোরেশনের রুটিন কাজের পাশাপাশি নগরীর নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন করতে গত তিন মাসে আপ্রাণ চেষ্টা চালালাম। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অফিসের অব্যবস্থাপনা ঠিক ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে দেখি নগরবাসী তাদের নানান সমস্যা নিয়ে আমার কাছে ধর্না দিচ্ছেন। কিন্তু সব সমস্যার সমাধান আমার একার পক্ষে এই সীমিত সময়ে করা সম্ভব নয়। তিনি আজ টাইগারপাস বাটালী হিলস্থ কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে লেকসিটি হাউজিং সোসাইটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। এ সময় কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, লেকসিটি হাউজিং এর সভাপতি এ কে এম মুজিবুল হক, সাধারণ সম্পাদক আফাজ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে লেকসিটি হাউজিংয়ের সাধারণ সম্পাদক বিগত সময়ে টাকা প্রদানের পরও অল্প কয়েকটি প্লট ছাড়া বাকি মালিকদের প্লট বুঝিয়ে না দেয়ার বিষয়ে প্রশাসককে অবহিত করেন। তখন তারা তাদের বিগত সময়ে প্রদেয় টাকার হিসেবসহ বর্তমানে প্লটের রেজিস্ট্রি খরচ বেড়ে যাওয়ার বিষয়েও জানান।
প্রশাসক সুজন তাদের কথা শুনে বলেন, আপনাদের সাথে অতীতে যা হয়েছে তা অন্যায়। এটা কাম্য ছিলোনা। এই সমস্যার যাতে একটা সুরাহা করা, সেজন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে। আমি আপনাদের এই সমস্যার সমাধানে দু-একদিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বরাবরে পত্র প্রেরণ করে ওনার নির্দেশনা চাইবো। মন্ত্রণালয় যা বলবে, সেই মতে ব্যবস্থা হবে। এর বেশি আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, আমি আমার দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কর্পোরেশনের অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবিষ্য তহবিলের টাকা অল্প অল্প করে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতাও যথা সময়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি। গত কয়েকদিন আগেও নগরীর খাল থেকে ৮৫ ট্রাক আবর্জনা অপসারণের ব্যবস্থা করলাম। তিনি লেকসিটি হাউজিং এর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যে অধিকার নিয়ে আমার কাছে এসেছেন, আমি ওয়াদা করলাম আপনাদের সমস্যার সমধানে আমার শতভাগ চেষ্টা থাকবে।