৯০টি কুমির অবমুক্ত করা হবে সুন্দরবনে

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া এলাকায় তিনটি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। এভাবে সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে মোট ৯০টি কুমির অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

রোববার দুপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এবং উপ-বন সংরক্ষক কবির হোসেন পাটোয়ারী হাড়বাড়িয়ায় ওই তিনটি কুমির অবমুক্ত করেন।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে কুমির প্রজনন করা হয়। প্রকৃতিতে কুমিরের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময়ে এই কুমিরছানা বনের অভ্যন্তরে নদী ও খালে অবমুক্তও করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের ৯০টি কুমির অবমুক্ত করার কথা ছিল। এর অংশ হিসেবে রোববার তিনটি কুমির অবমুক্ত করা হলো। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট কুমিরগুলো সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হবে।

করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী-খালে ৯০টি কুমির অবমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। এরই অংশ হিসেবে রোববার প্রথম দফায় তিনটি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। করোনার কারণে অবশ্যই এ কুমির অবমুক্তকরণ কার্যক্রম একটু বিঘ্নিত হয়েছে।

বিলুপ্তপ্রায় লবণপানির প্রজাতির এ কুমিরের প্রজনন ও বংশ বিস্তারের উদ্দেশ্যেই ২০০২ সালে করমজলে কুমির প্রজননকেন্দ্র গড়ে তোলে বন বিভাগ।

রোববার তিনটি কুমির অবমুক্তির পর বর্তমানে প্রজননকেন্দ্রে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৯২টি কুমির রয়েছে। বাকি ৮৭টি অবমুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

কুমির ছানা অবমুক্তির সময় পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহম্মাদ বেলায়েত হোসেন, পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ মহসিন হোসেন ও করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির উপস্থিত ছিলেন।