ডিজিটাল যুগে অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম পিছিয়ে থাকতে পারে না

হাইটেক পাওয়ার পার্ক এস.ডি’র সাথে স্বাক্ষাতকালে সুজন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ বিনির্মানের স্বপ্ন পূরণ এবং বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে সামিল হতে হলে সকল ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে দেশের অর্থনৈতিক হৃদপিন্ড এবং ৮০ শতাংশেরও জাতীয় আয়ের উৎস বন্দর নগরী চট্টগ্রাম আগামীতে ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। অর্থনেতিক গুরুত্ব বিবেচনায় ডিজিটাল যুগে চট্টগ্রাম পিছিয়ে থাকতে পারে না এবং এজন্য প্রয়োজন স্থাপনা, অবকাঠামো নির্মাণ, চর্চা ও গবেণার জন্য পর্যাপ্ত প্লেস বা স্থান। এই বিষয়টি মাথায় রেখে কোন শর্ত ও বিধি-বিধান ছাড়াই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীতে হাইটেক পাওয়ার পার্ক স্থাপনের জন্যে বাংলাদেশ হাইটেক পাওয়ার কর্তৃপক্ষকে ১২ একর জমি দিয়েছে ন্যূনতম ভাড়ায়।
তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ প্রশাসক দপ্তরে আইসিটি ডিভিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগমের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সাথে সাক্ষাতকালে একথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, শীঘ্রই মিরসরাইতে অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে যাচ্ছে। কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ শেষ হলে নদীর দক্ষিণ তীরে একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। ইতোমধ্যেই এতদ্ অঞ্চলে ১২টি দেশ থেকে বড় অংকের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ এসব স্থানগুলো অচিরেই শিল্পনগরীতে পরিণত হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামীতে এই সকল শিল্প নগরীসহ চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ চলাচল থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দৈনন্দিন কার্যক্রম তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভর করবে। এ ছাড়াও শিল্প, বাণিজ্যসহ চট্টগ্রামের সকল আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রযুক্তি যথোপযুক্ত ব্যবহার অনিবার্য হয়ে উঠবে।
হাইটেক পাওয়ার পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম চসিক প্রশাসককে অবহিত করেছেন যে, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব ১১ দশমিক ৫৫ একর জায়গায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পথে। অতি শীঘ্রই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এই তথ্য প্রযুক্তি স্থাপনা ও পার্কটি পরিদর্শন করবেন। তিনি এই পার্কের জন্য ১ বর্গফুট জায়গার ভাড়া ৩০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা ধার্য করার জন্য প্রস্তাব করলে চসিক প্রশাসক তাতে সায় দেন। এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ পিএসসি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ।