নুরুল হুদা ভোট ডাকাতির সর্দার-শাহাদাত

ভোটের ফলাফল আগেই পকেটে তৈরি করে রাখে নির্বাচন কমিশন “আমেরিকার ভোট গণনা করতে ৪/৫ দিন লাগে আর আমাদের ভোট গণণা করতে লাগে ৫ মিনিট” নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার দেওয়া এই বক্তব্যের সমালোচনা করে তাকে ভোট ডাকাতির সর্দার উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমেরিকার নির্বাচনে তাদের জনগণের ব্যালটের প্রতিফলন ঘটে। তারা একবার নয় তিন বার ভোট গণণা করে তারপর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করে। আর নুরুল হুদা কমিশন আগে থেকে গণভবন থেকে পাঠানো ভোটের ফলাফল পকেটে তৈরি করে রাখে। যার কারণে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করতে তার ৫ মিনিট সময় লাগে। সামনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যেন কোনভাবে ভোট ডাকাতি করতে না পারে বেহুদা কমিশন, তার জন্য প্রত্যেকটি কেন্দ্রে নেতাকর্মীদের সারাদিন ব্যালট পেপার পাহারা দিতে হবে। যদি ভোট ডাকাতি করা হয়, কোন ধরণের কারচুপি করা হয়, তাহলে এই চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে। আজ রোববার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে উপ-নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ও নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ঢাকা ও সিরাজগঞ্জ উপ-নির্বাচনে ভোট ডাকাতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকারী দলের লোকজন ঢাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। পরিকল্পিতভাবে এ অগ্নিসংযোগ করে ভোট কারচুপি থেকে জনগণকে দৃষ্টিকে অন্যদিকে নিয়ে গেছে। ঘটনার দিন চট্টগ্রামের যুবদল নেতা মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মো. শাহেদ, আহমেদুল আলম রাসেল চট্টগ্রামে অবস্থান করলেও তাদের নাম মামলায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এটা আওয়ামীলীগের পুরনো অভ্যাস, দুই নাম্বারী তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতে হামলা করেছে আওয়ামীলীগের দলীয় চেয়ারম্যান শাহাদাত, সে সময় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে থাকলেও ফেনীর ঘটনায় আমার নামে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আওয়ামীলীগের অনিয়ম, ভোট ডাকাতি ও দূর্নীতিকে আড়াল করার জন্য তারা একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে। শেয়ার বাজারের লুটপাটকে আড়াল করার জন্য সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীকে হত্যা করা হয়েছে। কারণ শেয়ার বাজার লুটপাটে সালমান এফ রহমান ও ফারুক খান জড়িত ছিল। একইভাবে ভোট ডাকাতিকে আড়াল করতে বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে সরকার। নির্বাচনে যে ভোট কারচুপি হয়েছে সেটা নির্বাচন কমিশনার মাহবুবুল আলম নিজেই বলেছেন। তার ভাষ্যমতে এই দুই উপনির্বাচনে অতীতের চেয়ে জঘন্যভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ভোট ডাকাতিকে সরকার এখন নিয়মে পরিণত করেছে। জনগণের আস্থা হারিয়ে সরকার এখন আবোল-তাবোল বকছেন। পতন যখন সন্নিকটে চলে আসে, তখন পায়ের নীচে মাঠি থাকে না। তখন কি বলে না বলে তার হুশ থাকে না। আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপিরা এখন বেহুশে, তাদের কথা বার্তায় সেটা প্রমাণিত হচ্ছে। যার কারণে বিরোধীদল বিএনপি যখণ মাঠ পর্যায়ে সুসংগঠিত হচ্ছে তখন, গায়েবী আজগবী মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের ভয় দেখিয়ে দমানোর চেষ্ঠা করছেন। বিগত এক যুগ ধরে মামলা, হামলা আর জেল জুলুমে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন খাটিঁ সোনায় পরিণত হয়েছে। এখন আর মামলা, হামলা দিয়ে কোন লাভ হবে না। আসন্ন চসিক নির্বাচনে যদি সারাদেশের মতো এখানেও ভোট ডাকাতির চেষ্ঠা করা হয়, তাহলে এই চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে। তিনি অনতিবিলম্বে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাছির উদ্দীন, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আলী মূর্তজা খানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, ঢাকার গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, তার মধ্যে খিলক্ষেত থানায় দায়ের হওয়া মামলায় যাকে বাদী হিসাবে দেখানো হয়েছে, সে নিজেই জানে না মামলার বিষয়ে। মামলায় কারা আসামী আছেন তাদের কাউকেও চিনেও না বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছে। এত করে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে চট্টগ্রামের নেতাকর্মীদের মামলায় জড়ানো হয়েছে, তা ভূয়া এবং সাজাঁনো। এই ধরণের মামলায় বিএনপিকে স্তব্ধ করা যাবে না। এই মিথ্যুক ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের দীপ্ত শপথ নিতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সহসভাপতি এম.এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এস.কে খোদা তোতন, মোহাম্মদ আলী, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, এস.এম আব্লু ফয়েজ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস.এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দীন, শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আবুল হাসেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক জি.এম আইয়ুব খান, শামছুল আলম (ডক), সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য হামিদ হোসেন, হাজী নুরুল আক্তার, মনোয়ারা বেগম মনি, এইচ.এম রাশেদ খান, ইয়াকুব চৌধুরী, নুরুল আকবর কাজল, জিয়াউদ্দিন খালেদ চৌধুরী, ইব্রাহীম বাচ্চু, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি হাজী বাবুল হক, মো. সেকান্দর, ডা. নুরুল আফসার, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহ-সম্পাদক এ.কে.এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইকবাল, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, মো. শাহজাহান, খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, শফিক আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, আলমগীর নূর, হাসান লিটন, আবু মুছা, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, রঞ্জিত বড়ুয়া, আলী আজম, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, আফতাবুর রহমান শাহীন, আবদুল কাদের জসিম, হাবিবুর রহমান, মাঈন উদ্দীন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, রোকন উদ্দিন মাহামুদ, সদস্য হাজী মহসিন, ইউসুফ সিকদার, মো. ইলিয়াছ, আইয়ুব খান, সকিনা বেগম, জমির আহমদ, হাজী নুরুল হক, এড. আবদুল আজিজ, মনিরুজ্জামান টিটু, মো. ইকবাল হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, মোশাররফ হোসেন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস.এম মফিজ উল্লাহ, মো. রফিক চৌধুরী, হাজী ইলিয়াছ, আবদল্লাহ আল সগির, আলাউদ্দীন আলী নূর, মো. বেলাল , খন্দকার নুরুল ইসলাম, এস.এম ফরিদুল আলম, মো. সাইফুল আলম, ফারুক আহমদ, এম.এ.মুছা বাবলু, শরিফুল ইসলাম, মো. আজম, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, আবুল কালাম আবু, এম.এ হালিম বাবলু, মামুন আলম, হাজী আবু ফয়েজ, সাব্বির আহমদ, নাছিম আহমেদ, সৈয়দ আবুল বশর, এস.এম আজাদ, হাজী এমরান উদ্দীন, ফরিদুল আলম চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, জসিম মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মনজু মিয়া, মনজুর কাদের, হাজী জাহেদ, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ নুর আহমদ গুড্ডু, শাহেদ আকবর, এম.এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুর করিম, এম.এ গফুর বাবুল, মো. মুছা, নাসিম চৌধুরী, জসিমুল ইসলাম কিশোর, জাহেদুল হাসান বাবু, অরূপ বড়–য়া, মো. আলী সাকী, শহিদুল্লাহ বাহার, সিরাজ উদ্দীন, খায়রুল আলম দিপু, সেলিম রেজা, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈন উদ্দীন রাশেদ হারুনুর রশিদ, হুমায়ুন কবির, ইকবাল পারভেজ, এরশাদ হোসেন, তাজুল ইসলাম তাজু, আবদুল হামিদ পিন্টু, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, সিরাজুল ইসলাম ভ’ইয়া, এমদাদুল হক বাদশা, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরওয়ার, আনোয়ার হোসেন এরশাদ প্রমুখ।