বর্তমান সরকার অবৈধ, এ সংসদ ভোট ডাকাতির

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে মাহবুবের রহমান শামীম

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বর্তমান সরকার অবৈধ, এ সংসদ ভোট ডাকাতির সংসদ। এই অবৈধ ভোট ডাকাতির সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নতজানু এই নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অনতিবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। তিনি রোববার (১৫ নভেম্বর) সকালে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিএনপি কখনো আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগের ইতিহাসই আগুন সন্ত্রাসের ইতিহাস। জনগণের রায়ের তোয়াক্কা না করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে আছে তারা। ঢাকার যে বাস পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে, তা সরকারের পরিকল্পিত। সরকারী দল ও তার এজেন্টরা এসব গাড়ি পুড়িয়েছে। আর এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে আমাদের সিনিয়র নেতা গয়েশ^র চন্দ্র রায়, ইশরাক হোসেনসহ চট্টগ্রামে থাকা তিন যুবদল নেতার নামেও। অবিলম্বে এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যদি জনগণের উপর আপনাদের ভরসা থাকে, সংসদ থেকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। যদি সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তাহলে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আওয়ামী লীগ কোন আসনে বিজয়ী হতে পারবে না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া দল বিএনপির যে জনপ্রিয়তা, তাতে সারাদেশে বিএনপি নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী হবে। আর তখনই বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরে আসবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সরকার নির্বাচনের নামে তামাশা শুরু করেছে। নির্বাচনকে বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। নির্বাচন কমিশনকে তাদের দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে নির্বাচনকে হাস্যকর করেছে। যখনই কোন নির্বাচন আসে তখনই সরকার কোন না কোন কুচক্রী মহলকে ব্যবহার করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে। আর সে অরাজকতার দায় বিএনপিকে চাপিয়ে দিয়ে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটে। তাই সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি। সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের কোনো দায়িত্বশীলতা নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা মিথ্যাচার করছে। এই সরকারের সময়ে চারদিকে দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। তারা জনগণের ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। তাদের কোনো অধিকার নেই গণতন্ত্রের কথা বলার। আওয়ামী লীগের কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করার। আওয়ামীলীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে বলেই আজকে গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, আহবায়ক কমিটির সদস্য আবদুল গাফফার চৌধুরী, এম মন্জুর উদ্দিন চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মেয়র আবুল কালাম আবু, আবু মো. নিপার, এডভোকেট ফৌজুল আমিন, জামাল হোসেন, ভিপি মোজাম্মেল হক, মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী জাহেদ, হুমায়ুন কবির আনসার, লায়ন হেলাল উদ্দীন, নবাব মিয়া, মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মন্নান চেয়ারম্যান, অধ্যাপক এহছান মওলা, নুরুল কবির, জিয়াউদ্দীন চৌধুরী আশফাক, জসিম উদ্দীন, সেলিম উদ্দীন চৌধুরী খোকন, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহিদুল আলম শহিদ, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক মন্জুর আলম তালুকদার, সি. সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফৌজুল কবির ফজলু, মহিলাদল নেত্রী আফরোজা বেগম জলী, শাহনাজ বেগম, জেলা ওলামা দলের আহবায়ক হাফেজ মো. ফোরকান, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান আনিস প্রমুখ।