চসিক গার্হস্থ্য বিজ্ঞান কলেজেকে বহুমাত্রিক কলেজে রূপান্তরিত করা হবে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন হালিশহরে অবস্থিত চসিক অধিগ্রহণভূক্ত গার্হস্থ্য বিজ্ঞান কলেজকে সহশিক্ষা পাঠক্রম চালুকরণসহ একটি মানসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ বহুমাত্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আজ তাঁরই সভাপতিত্বে চসিক গার্হস্থ্য বিজ্ঞান কলেজ গভনিং কমিটির অনুষ্ঠিতব্য সভায় তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, প্রাক্তন মেয়র এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে শিক্ষা বান্ধব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন নতুন স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অনেক রুগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অধিগ্রহণভূক্ত করে এই নগরীতে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছিলেন। চসিকের অধীনে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠ গ্রহণ কার্যক্রম সারা দেশে প্রশংসিত ও সুনাম বৃদ্ধির পরিচায়ক। এ জন্য চসিককে বড় অংকের ভূতুর্কি দিতে হয়। এটা সম্ভব হয়েছে একাধিক আয়বর্দ্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন করায়। তবে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরবর্তী মেয়রগণ সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা সেবার এই মান ও সুনাম ধরে রাখতে পারেননি। কারণ আয়বর্দ্ধক প্রকল্পগুলোর নির্জীবতা ও বসে যাওয়া শিক্ষা খাতে ভূতুর্কি প্রদানের সক্ষমতা হারাবার উপক্রম হয় এবং সঙ্গত কারণেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগত মানেরও অবনতি ঘটে। তাই এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটি এখন মাথা বোঝার কারণ এবং এই বাস্তবতা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রেলওয়ের কাছ থেকে মালিকানা প্রাপ্ত আড়াই একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত গার্হস্থ্য বিজ্ঞান কলেজটিও আমাদের মাথা বোঝার কারণ। বেশ বড় জায়গা নিয়ে স্থাপিত এই শিক্ষঅ প্রতিষ্ঠনে শুধু গার্হস্থ্য হিসেবে বিশেষায়িত থাকায় এখানে সহশিক্ষা চালুর প্রধান প্রতিবন্ধক। এতে মোট শিক্ষক ৩৭ জন এর মধ্যে ২৭ জন এমপিও ভূক্ত। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১শ’র মত। এতেই প্রতীয়মান শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায় ব্যায়ের আধিক্য বেশি। তবে সম্ভাবনার উপায়ও আছে। একমাত্র উপায় হচ্ছে সহশিক্ষা চালু করে নতুন নতুন বিভাগ খুলতে পারলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্রুত বাড়বে এবং এলাকার মানুষেরও সহায়তায়এই স্কুলটি সক্ষমতায় সচল হবে এবং চসিকের মাথা বোঝার কারণ লাঘব হবে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, এই কলেজের বিদ্যমান সমস্যার সমাধান, সহশিক্ষা চালুকরণসহ পুর্ণাঙ্গ কলেজে রূপান্তরে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীর সাথে আলোচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাওয়া হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এত বড় জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত কলেজটির পরিচিতিমূলক দৃশ্যমান কোন তোরণ নেই। তাই অচিরেই সাধারণ মানুষের কাছে কলেজটির নাম যাতে গোচরীভূত হয় সে জন্য বড়পোলের কোন জায়গায় একটি তোরণ নির্মাণ করে দেয়া হবে। এছাড়া পুরো কলেজ ক্যাম্পাসে সবুজায়নকল্পে বৃক্ষরোণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যেই ভূমি অধিদপ্তর থেকে কলেজের মোট ভূমিার নামজারী হয়ে গেছে বিধায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজে কোন বাঁধা থাকবে না।
কলেজ অধ্যক্ষা আ.ন. ম আকতারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভঅয় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব জালাল আহমদ, সহকারী অধ্যঅপক ওসমান গণি, কাজী মোহাম্মদ শাহেদ হাসান, মনোয়ারা বেগম। সভায় কলেজের দাতা সদস্য ও অভিভাবক প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।