তিনি কিভাবে ভোট চুরিকে স্বীকৃতি দেন তা বোধগম্য নয়

পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত  হোসেন বলেছেন, ঢাকার দুই উপ-নির্বাচনে সরকারের যে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ জাতি দেখে তাতে করে নির্বাচন এখন মানুষের কাছে একটি মঞ্চ নাটকের মতো। বাংলাদেশের মানুষ এখন নির্বাচন মানেই বুঝে শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের জয়জয়কার আর বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের দমন নিপীড়নের হাতিয়ার। নির্বাচন কমিশন একটি মেরুদ-হীন প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের কমিশনার পরিণত হয়েছে। নির্লিপ্ত নির্বাচন কমিশনার বাংলাদেশে যে ভোট চুরি আর ডাকাতির মহাউৎসব চলে, তার থেকে আমেরিকার অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে। একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল পদে থেকে কিভাবে এ ভোট চুরিকে স্বীকৃতি দেয় তা বোধগম্য নয়। আমেরিকার নির্বাচনে জনগণের রায় আর গণতন্ত্রের প্রতিফলন হয়, বাংলাদেশের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র হরণ হয়। নির্বাচনে কোথায় কি ফলাফল হবে তা গণভবন থেকে আগে থেকে তৈরি করে দেওয়া হয়।
আজ শনিবার (১৪ নভেম্ব্র) নগরীর ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন ঢাকার গাড়ি পোড়ানো মামলায় চট্টগ্রামের তিন যুবদল নেতাকে আসামী করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুর হাশেম বক্কর বলেন, বিগত সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে বজ্রপাতের শব্দকে ককটেল বিস্ফোরণ দাবি করে প্রশাসন বিএনপির নেতাকর্মীদের গায়েবী মামলা দিয়েছে। গায়েবী মামলায় মৃত থেকে প্রবাসী নেতাকর্মীদেরও আসামী করা হয়েছে। একইভাবে ঢাকায় সদ্য সমাপ্ত উপ-নির্বাচনের ভোট কারচুপি ডাকতে সরকার তাদের পোষ্য বাহিনী দিয়ে বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। আর সেই অগ্নিসংযোগের মামলায় সারাদেশের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেছে। চট্টগ্রামের তিন যুবদল নেতা সেদিন চট্টগ্রামে অবস্থান করলেও গাড়ি পোড়ানো মামলায় তাদেরকেও আসামী করা হয়েছে। চট্টগ্রামে থেকে কিভাবে গাড়ি পোড়ানো যায় তা এই সরকার না থাকলে জানতাম না। গায়েবী মামলা দিয়ে সুসংগঠিত বিএনপিকে আদালতে দৌড়ের উপর রাখতে চাই সরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচন কমিশনারের সহায়তায় সারাদেশে ভোট ডাকাতির মহাউৎসব চলছে। বিগত সময়ের নির্বাচন গুলোতেও একই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। এ আসনের জনগণ বিগম উপ-নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিলেও আওয়ামীলীগ সরকারের ইশারায় জনগণের সে ভোট চুরি করে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। মানুষ দেখছে কিভাবে ভোট কেন্দ্র দখল করে এজেন্টদের বের করে ভোট চুরির উৎসব হয়েছে। এই ভোট চোরদের রুখতে হবে। এদের থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে আমাদের সুসংগঠিত হতে হবে।

পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আসলামের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী ইস্কান্দার মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুনীর চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপি সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসা, থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল হক হাছান, পাঁচলাইশ থানা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী, এনামুল হক ইনু, আবুল বশর, মকবুল হোসেন খোকন, মোহাম্মদ সালামত আলী, শাহাদাত হোসেন ওয়াসিম, জানে আলম , ৪৩ নং আমিন শিল্পাঞ্চল সভাপতি এডভোকেট এফ এ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এম এ হোসেন দিদার, বিএনপির নেতা মোহাম্মদ নাসের, আবুল খায়ের, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, এরশাদ হোসেন, মোহাম্মদ রাসেল, রাজন খান, মোহাম্মদ ফারুক, নগর সেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, নগর যুবদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আসাদুজ্জামান রুবেল, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ আলী সাকি, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, পাঁচলাইশ থানা মহিলাদলের সভানেত্রী সাইমা হক, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর প্রার্থী জিন্নাতুন্নেসা জিনিয়া প্রমুখ।