পথশিশুদের সাথে দুপুরের খাবার

সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম উত্তরজেলার উদ্যোগে পথশিশুদের সাথে দুপুরের খাবার মানবতার স্পর্শে দূর হোক অন্ধকার এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে পথচলা শুরু সেভ দ্য ফিউচার ফাউনন্ডেশন (Save The Future Foundation) এর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হওয়া এই সংগঠনটি বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় পৌঁছে গেছে সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের জীবন মান উন্নয়নের উদ্দেশ্যে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো চট্টগ্রাম উত্তরজেলার আয়োজনে পথশিশুদের সাথে বিশিষ্টজনের দুপুরের বিরিয়ানি ভোজ ও আলোচনা সভা। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ শফিউল আলম বলেন, আমাদের সমাজের মৌলিক অধিকার বঞ্চিতদের মাঝে আলো পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের মত যুবসমাজের, আমরাই পারি এই সমাজকে বদলে দিতে, এক পর্যায়ে উনি আজীবন এই সংগঠনের পাশে থেকে সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজকর্মী ও সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশনের সদস্য মাহবুবুল ইসলাম সুমন। সভাপতির বক্তব্যে সুমন বলেন, আমরা সমাজের প্রতিটি সচেতন ব্যক্তি যদি একটি করে সুবিধাবঞ্চিত শিশুর দায়িত্ব নিতে পারি তাহলে আমাদের সমাজ থেকে এই কলঙ্ক নির্মূল হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, এই সকল বাচ্চাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে কখনো আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন করা সম্ভব নয়। উত্তর চট্টগ্রামের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে হলেও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে খাবার বিতরণ ও স্থায়ীভাবে শিক্ষাদানের লক্ষ্যে শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করার ইচ্ছাপোষণ করেন। সুমনের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রধান অতিথি শফিউল আলম একটি শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করে দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তরুন ছাত্রনেতা ও সমাজকর্মী হোসেন আল জাহিদ সুমন উপস্থিত সবার কাছে এই ফাউন্ডেশনের পাশে থেকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র নেতা বাবর উদ্দিন সাগর, আফাজউদ্দিন বাপ্পী, সেভ দ্য ফিউচার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ভুঁইয়া, মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মেহেদি হাসান, আলোর আশা যুব ফাউন্ডেশন ও সোহা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আনওয়ার এলাহী ফয়সাল, ছাত্র নেতা রোজন, গোলাম মোস্তফা, ওমর ফারুক, রাজনসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উপস্থিত সকলে এই সংগঠনের পাশে থেকে মানবিক কাজে সহায়তা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।