আগ্রাবাদে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মিন্টু চৌধুরী মারা গেছেন। শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরীর রয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ।
এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে নয়টার দিকে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র্যালিকে কেন্দ্র করে কমার্স কলেজের সামনে সংঘর্ষে মিন্টু চৌধুরী (৩৫) নামে ওই যুবক আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে মিন্টুকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তাকে নগরীর রয়েল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানে মিন্টু চৌধুরীর মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী বলছেন, ২৮ নং পাঠানটুলি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং লিডার মোস্তফা কামাল টিপু মাথা চড়া দিয়ে উঠেছে। র্যাবের ক্রস ফায়ারে খোরশেদ মারা যাওয়ার পর থেকে তাদের এ টিম সন্ত্রাসী কার্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। টিপু আগ্রাবাদ এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক চাঁদা নেন বলেও জানান এলাকাবাসী। গতকাল রাতে টিপুর নেতৃত্বে মাহবুব, রমজান সহ বেশ কিছু কিশোর গ্যাং মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলাব্রত বড়ুয়া বলেন, ‘গতকাল রাতে আগ্রাবাদ এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মিন্টু চৌধুরী নামের এক গুরুতর আহত ব্যক্তিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করায় গুরুতর ওই রোগীকে রাতে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।’