টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু

কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদ শাজাহান আলি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে শুধুমাত্র কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে একটি জাহাজকে অনুমতি দেওয়া হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক নয়ন শীল বলেন, চলতি মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলের জন্য দুটি জাহাজে অনুমতি চেয়েছে। তার মধ্যে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজকে গত ১ অক্টোবর থেকে ১২ ডিসেম্বর এবং এমভি ফারহান পর্যটকবাহী জাহাজকে ৪ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি দেওয়ার পরও ঠিক কী কারণে এ নৌরুটে জাহাজ চলাচল এত দিনেও শুরু হয়নি সেটা জানা নেই।

কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেয়েছি, শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু করবে। যদিও এর আগে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পরিবহন দফতরের ছাড়পত্র পেয়েছিলাম। আমরা এখন থেকে দ্বীপে ভ্রমণকারীদের টিকেট বিক্রি শুরু করেছি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, দ্বীপে পর্যটক ব্যবসায়ীরা তাদের আবাসিক হোটেল ও কটেজগুলো ইতোমধ্যেই সাজিয়ে রেখেছেন। জাহাজ চলাচলের খবরে দ্বীপে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরেছে।

প্রসঙ্গত, গত মৌসুমের শেষ পর্যায়ে দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে ঘোষিত লকডাউনে পর্যটনখাত স্থবির হয়ে পড়ে। প্রায় আট মাস পর সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একের পর এক পর্যটন স্থান খুলে দেওয়ার পরিপেক্ষিতে চলতি মৌসুমের শুরুতেই সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হল।