ছুটির দিনেও চট্টগ্রামের সম্মিলিত বইমেলায় উপচে পড়া ভিড়

সাঈফী আনোয়ারুল আজিম: নগরীর সম্মিলিত বইমেলায় আজ পাঠক, বইপ্রেমী এবং দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মহান ২১ ফেব্রুয়ারির আজকের ছুটির দিনে এই উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ছুটির দিনে নগরবাসী বই কিনতে ও ঘুরে বেড়াতে ছুটে এসেছেন তাদের প্রাণের মেলা চত্বরে।

৪৮ বছর পর নতুন যুগে প্রবেশ করলো চট্টগ্রামের বইমেলা। চট্টগ্রামে পাঠক নেই-এ কথা যে ঠিক না সেটি প্রমাণিত হলো এবার। নানা বয়সী পাঠকের উপচে পড়া ভিড় যেমন আছে তেমনি বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর বই।

এবারের বইমেলায় তরুণদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। সেইসাথে অনেকে এসেছেন নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে। মা বাবার সঙ্গে শিশুদের উপস্থিতিও ছিল বেশ লক্ষনীয়। বিকাল ৩ টার পর পুরো বইমেলা দর্শক ও পাঠকের অংশ গ্রহণে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।

বিকেলে মেলার উভয় প্রাঙ্গণে দীর্ঘ লাইন দিয়ে পাঠক-দর্শনাথীদের মেলায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর সব বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে মেলা চত্বর পরিণত হয় বাঙালির মিলনমেলায়। আর শিশু থেকে বুড়ো সব বয়সী মানুষের প্রাণের উচ্ছ্বাসও ছিল দেখার মতো।

শেষ বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে ছিল উপচে পড়া ভিড়। মা-বাবার হাত ধরে, কাঁধে চড়ে যেমন শিশুরা এসেছে মেলায় তেমনি তরুণ-তরুণীরাও এসেছে সবান্ধবে। হাজারো মানুষের প্রাণের মেলায় পরিণত হয় পুরো এলাকা। ধুম পড়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে সেলফি তোলার।

মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশকরা জানান, ছুটির দিনে লোক সমাগম ও বইয়ের বিক্রি উভয়ই ভাল হচ্ছে। সকাল থেকেই শিশুদের উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনায় মেলা চত্বর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

কয়েকজন প্রকাশকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিশুতোষ ভূত-রাক্ষস-দৈত্যের গল্পের বই, ছড়া-কবিতার বই, বড়দের প্রেমের কবিতা, গল্প-উপন্যাস বিক্রি হচ্ছে বেশি। বিক্রি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ, অনুবাদ সাহিত্যসহ সব ধরনের বই। কিছু পাঠক শুধু পরিচিত ও জনপ্রিয় লেখকদের বই কিনছেন।

এবারের সম্মিলিত বইমেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের শতাধিক প্রকাশকের স্টল রয়েছে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম মাঠের অমর একুশের বইমেলায়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ সম্মিলিতভাবে ১৯ দিনব্যাপী এ বইমেলার আয়োজন করেছে।