করোনার টিকায় তৈরি পোশাক শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দাবি

প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে সরকারি সহযোগিতায় বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে এ শিল্পে আঘাত হানতে শুরু করেছে।ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় অর্ধেক দেশে লকডাউনের মতো অবস্থা বিরাজ করছে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সতর্কতামূলক নির্দেশনার আলোকে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে বুধবার (১১ নভেম্বর) বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে বিজিএমইএর আঞ্চলিক কার্যালয়ে ক্রাইসিস কমব্যাট কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি এএম চৌধুরী সেলিম, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, এনামুল আজিজ চৌধুরী, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, মঈনুদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ফেরদৌস, সাবেক পরিচালক এমদাদুল হক চৌধুরী, সাইফ উল্ল্যাহ মনসুরসহ প্রমুখ।

বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি করোনার প্রথম ঢেউ মোকাবেলায় ঋণ প্রণোদনাসহ সরকারের গৃহীত বিবিধ পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আমাদের প্রথমবারের মতো সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণ ছুটির মধ্যেও কারখানা খুলে দেওয়ার মতো চ্যালেঞ্জিং সিদ্ধান্ত এবং শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারায় আমাদের এ শিল্প কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।

তিনি বলেন, বিজিএমইএ কোভিড-১৯ (করোনা) ফিল্ড হাসপাতাল ইতিমধ্যে করোনা চিকিৎসায় যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা রেখেছে, এটিকে আরও বেগবান ও চলমান রেখে করোনা চিকিৎসাসেবা প্রসারে গুরুত্ব দিতে হবে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন টপস্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবছার হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে অন্যান্য সহায়তার পাশাপাশি ফ্রন্ট লাইনার শিল্পযোদ্ধা হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের করোনার টিকা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরবরাহের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

তারা আমাদের রফতানির গন্তব্য দেশগুলোতে যদি ফের লকডাউন শুরু হয় সেক্ষেত্রে রফতানি বিপর্যয়, স্টক লক, রফতানি আদেশ বাতিলসহ বিভিন্ন বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হতে পারে। এ বিপর্যয় মোকাবেলায় করোনার প্রথম পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে ঋণ প্রণোদনা দিয়েছিলেন ঠিক একই ভাবে দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায়ও অনুরূপ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

সব পোশাক কারখানায় হেলথ প্রটোকল প্রতিপালন অব্যাহত রাখতে মালিকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।