সাগরিকা এলাকা থেকে বিয়ের ভাড়া আছে জানিয়ে লেগুনা চালক নাজমুলকে মদুনাঘাট এলাকায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। অপহরণের এক পর্যায়ে নাজমুলকে গলা কেটে হত্যা করে তারা।
পরে আবার নাজমুলের পরিবারের কাছে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণও দাবি করে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) লেগুনা চালক নাজমুল হত্যার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটকের পর এসব তথ্য জানতে পেরেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
নাজমুল হত্যার সঙ্গে জড়িত রাজু নামে একজনকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। পরে তার দেওয়া তথ্যে বোয়ালখালী এলাকায় সড়কের পাশ থেকে নাজমুলের গাড়ি এবং অনন্যা আবাসিকের পেছনে চন্দ্রবিল এলাকা থেকে নাজমুলের মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা।
শনিবার (৭ নভেম্বর) লেগুনা চালক নাজমুলকে সাগরিকা এলাকা থেকে মদুনাঘাট এলাকায় ভাড়ায় নিয়ে গিয়ে অপহরণ শিকার হয়েছিলেন। নাজমুলের খোঁজ না পেয়ে তার পরিবার পাহাড়তলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
পরে নাজমুলের পরিবারের কাছে ফোন করে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। নাজমুলের পরিবার বিষয়টি র্যাব-৭ কে জানালে র্যাব তদন্তে নেমে সন্দেহভাজন হিসেবে রাজুকে আটক করে। রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে রাজু।
র্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. রকিবুল হাসান বলেন, নাজমুলকে কৌশলে অপহরণ করা হয়েছিল। এক পর্যায়ে তারা নাজমুলকে হত্যা করে। মদুনাঘাট চন্দ্রবিল এলাকায় খুন করার পর নাজমুলের গাড়িটি অপহরণকারীরা চালিয়ে নিয়ে বোয়ালখালীতে সড়কের পাশে রেখে দেয়। পরে নাজমুলের পরিবারের কাছে ফোন করে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
মো. রকিবুল হাসান বলেন, নাজমুলের পরিবার বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা তদন্তে নেমে সন্দেহভাজন হিসেবে রাজুকে আটক করি। রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নাজমুলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। রাজুর দেওয়া তথ্যে বোয়ালখালী এলাকায় সড়কের পাশ থেকে নাজমুলের গাড়ি এবং চন্দ্রবিল এলাকা থেকে নাজমুলের মরদেহ উদ্ধার করি। নাজমুল হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার সকালে হাটহাজারী থানাধীন অনন্যা আবাসিকের পেছেন চন্দ্রবিল থেকে নাজমুলের মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা। নিহত লেগুনা চালক নাজমুল গোপালগঞ্জ জেলার ব্রাহ্মণডাঙ্গা এলাকার মজনু শেখের ছেলে বলে জানা গেছে।
আটক রাজু সীতাকুণ্ড থানাধীন দক্ষিণ রহমতনগর এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে।