নূর হোসেনের রক্তের সাথে বেঈমানি করেছে সরকার

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ নুর হোসেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ১৯৯০ সালে গণতন্ত্র মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হওয়া নূর হোসেনের কন্ঠকে হত্যা করে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। কিন্তু নূর হোসেন জীবন দিয়ে ৯০’র গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়েছে। তার রক্তের স্লোতে মুক্ত হয় গণতন্ত্র। তবে যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে নূর হোসেন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর সে স্বপ্ন আজও পুরোপুরি হয়নি। ৯০ সালে মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে ৫ জানুয়ারি ও ৩০ ডিসেম্বরের এক তরফা নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে। আওয়ামীলীগ সরকার গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে নূর হোসেনের রক্তের সাথে বেঈমানি করেছে। তিনি মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, শহীদ নূর হোসেন স্বৈরাচার বিরোধী রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী বীর। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে স্মরণীয় নাম। যিনি মিটিং মিছিল ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন। সময়ের সাহসী সন্তান নূর হোসেন সেদিন রাজপথে স্বৈরাচারের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। নুর হোসেন যোগ দেন জীবন্ত পোস্টার হয়ে। তার বীরোচিত জীবনদানের ফলে নূর হোসেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। শাহাদাত বার্ষিকীতে তাঁর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ১৯৮৭ সালের এই দিনে এরশাদ সরকার বিরোধী গণ-আন্দোলনে ঢাকা জিরো পয়েন্টের কাছে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নূর হোসেন। ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগান বুকে-পিঠে লিখে মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। যে স্বপ্ন নিয়ে নুর হোসেনসহ দেশের মানুষ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল তা বাস্তবায়ন হয়নি। এখনও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এক তরফা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, নূর হোসেনসহ অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগের পথ বেয়ে স্বৈরাচারের পতনকে ত্বরানিত্ব করে দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা পায়। এই আন্দোলনের জোয়ারে নব্বইয়ের শেষ দিকে ভেসে যায় স্বৈরাচারের গদি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেনের শহীদী আত্মদান আন্দোলনকারীদের প্রাণে বিপুল শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল। শহীদ নূর হোসেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি শামসুল আলম, হাজী মোহাম্মদ আলী, জয়নাল আবেদিন জিয়া, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল হালিম শাহ আলম, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সম্পাদকবৃন্দ হামিদ হোসেন, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, অধ্যাপক ঝন্টু বড়–য়া, শহিদুল ইসলাম শহিদ, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মো. সালাউদ্দীন, সহ-সম্পাদক একএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাকির হোসেন, হাবিবুর রহমান, নগর সদস্য মো. ইলিয়াস, বুলবুল আহমেদ, এস এম মফিজ উল্লাহ, ছাদেকুর রহমান রিপন, হাজ¦ী মো. জাহেদ, নগর মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক হাজ¦ী নুরুল হক, তাতী দলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, নগর যুবদলের সহসভাপতি এম এ গফুর বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, তাতীদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।