বাংলালিংক ও রবির মোট ৩৫৯ টি টাওয়ার নির্মাণের চুক্তি

বাংলালিংক ও রবির মোট ৩৫৯ টি টাওয়ার নির্মাণের চুক্তি করেছে দুই টাওয়ার কোম্পানি।

লাইসেন্স পাওয়ার পর ৪ টাওয়ার কোম্পানি সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্টসহ নানা ইস্যুতে দীর্ঘ সময়ে কার্যক্রম শুরু করতে পারছিল না।

শেষে সামিট টাওয়ার লিমিটেড বাংলালিংকের ২৫৯ টি টাওয়ার এবং এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম রবির ১০০ টি টাওয়ার নির্মাণে চুক্তি করেছে।

ইতোমধ্যে এবি হাইটেক কনসোর্টিয়াম রবির ৪৭টি টাওয়ার নির্মাণ করে তা বুঝিয়েও দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিটিআরসির সাথে টাওয়ার কোম্পানিগুলোর বৈঠকে টেলিযোগাযোগ সেবার মান উন্নয়নে টাওয়ার স্থাপন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার প্রতিশ্রুতি দেয় টাওয়ার কোম্পানিগুলো। যেনো শক্তিশালী মোবাইল নেটওয়ার্ক কাঠামো গঠন এবং প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত এর সুফল পৌঁছে দেয়া যায়।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মুহিউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ৪ কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের অপারেশনাল কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন।

এতে সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফ আল ইসলাম বলেন, তারা বাংলালিংকের সাথে সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট সম্পন্ন সাপেক্ষে ২৫৯ টি টাওয়ার নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ২০২০ এর ডিসেম্বর এর মধ্যে ১৫০ টি এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ অবশিষ্ট ১০৯ টি টাওয়ার নির্মাণ করবেন তারা।

এবি হাইটেক কনসোর্টিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন মঞ্জুরুল হাসান বলেন, আগামী তিন মাসে তিনশত টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা তাদের। ইতোমধ্যে রবির সঙ্গে ১০০ টাওয়ার নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এবং ৪৭টি টাওয়ার নির্মাণ করে রবিকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাকী ৫৩ টিও নভেম্বরের মধ্যে নির্মাণ করা হবে।

কীর্তনখোলা টাওয়ার বাংলাদেশ লিমিটেডের ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেসের প্রধান আনিস আহমেদ বলেন, তারা বিভিন্ন অপারেটরের সাথে বাণিজ্যিক আলাপ আলোচনায় প্রায় শেষের দিকে রয়েছেন। শিগগির দেশের বিভিন্ন স্থানে টাওয়ার নির্মাণ শুরু করতে পারবেন বলে তাদের আশা।

ইডটকো বাংলাদেশের পরিচালক (প্রকৌশল) সাব্বির আহমেদ জানান যে, তার প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে টাওয়ার নির্মাণ কার্যক্রম চালু রেখেছে।

বৈঠকে সকল টাওয়ার লাইসেন্সিদের মোবাইল অপারেটরদের সাথে সমন্বয় ও সহযোগিতার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে গুরুত্ব দেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা টাওয়ার নির্মাণে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ বিষয়ে কমিশন থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।