টেকনাফে ঢাকা কস্তুরী হোটেলে খাদ্যে বার বার “টিকটিকি”

টেকনাফ প্রতিনিধি:
টেকনাফ পৌরসভা গণিমাকেটস্থ কসাই হোটেল খ্যাত “ঢাকা কস্তুরী হোটেলে” খাদ্যে বার বার “টিকটিকি” পাওয়া কে কেন্দ্র করে গ্রাহকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ইতি পূর্বেও ওই হোটেলে “টিকটিকি” পাওয়ার নজির রয়েছে। গ্রাহকদের বলতে শুনা যায়, “ঢাকা কস্তুরী হোটেলে” আমরা এসব কি খাচ্ছি। টিকটিকি না অন্য কিছু ?।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকালে নাস্তা করতে আসা এক গ্রাহক জানান হোটেলে রুটি পরটার সাথে ডাল খাওয়ার সময় হঠাৎ চোখে পড়ে গেল ‘টিকটিকি’। তিনি জানান প্রথমেই বিশ্বাসই হচ্ছে না। আসলেই ডালে কি । দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ উঠছে এই হোটেলে প্রতিনিয়িত পচা বাসি খাবার পরিবেশন করছে। অবশেষে সেই অভিযোগ সত্যিই হলো। সুত্রে জানা যায়,
এই “ঢাকা কস্তরী” হোটেলে দীর্ঘ দিন যাবত মায়ানমারের রোগাক্রান্ত ও অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন বাবুর্চি ও বয় ছেলে দিয়ে রান্নাবান্না সহ খাদ্য পরিবেশন করে আসছিল।
হোটেলের রান্না ঘর ছাড়া বসার স্থান চকচকে পরিস্কার রাখলেও রান্নাঘর নোংরা অতিরিক্ত অপরিষ্কার। কাস্টমারগণ হোটেলের মূল অংশের চকচকে সুন্দর দেখে খাবারের জন্য ভিড় করে। কিন্তু অপরিষ্কার ও নোংরা পরিবেশ থেকে রান্না করে খাবার পরিবেশের করা হয় তা কিন্তু কিউ জানে না। প্রতি দিনের বাসি খাবার গুলো রেখে দিয়ে পরের দিনের রান্নাকৃত খাবারের সাথে মিশিয়ে বিক্রি করে বলে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক লোকজন জানিয়েছেন। এমনকি এই নোংরা পরিবেশের রান্না ঘরে, মরা মুরগী, বাশি মাছ,পরিত্যক্ত গরু, খাঁসির মাংস রান্না করে পরিবেশন করার অভিযোগেরও শেষ নেই। রাঁধার কাজে মায়ানমারের পুরুষের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে রোগান্নিত রোহিঙ্গা মহিলারা কাজ করে থাকে বলে প্রত্যক্ষদর্শী
এছাড়া উক্ত হোটেলের মালিক গলাকাটা ব্যবসায়ী নামে পরিচিত,খাবারের জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। কোন কাস্টমার কর্ণপাত করে,এতো দাম কেন জানতে চাইলে তাকে হেনস্তা করে ছাড়ে,এমন অভিযোগও করেছেন,অনেক কাস্টমার। নোংরা পরিবেশের জন্য সেই হোটেলে একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মোটা অংকের জরিমানাও আদায় করা হয়েছিল।কিন্তু এরপরও হোটেল কতৃপক্ষের কোনো ধরণের টনক নড়েনি।টেকনাফের বিভিন্ন হোটেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে স্থানীয় হোটেলের পরিবেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও খাবারের মান উন্নত করা, গলাকাটা দাম কমানোর লক্ষ্যে মানুষের সু-স্বাস্থ্য রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসনের প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শাস্তি প্রদানের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
সচেতন মানুষের একইদাবী, আসুন এই রেস্টুরেন্ট ‘ঢাকা কস্তুরী’ হোটেল কে বয়কট করি।
কসাই হোটেল নামে প্রসিদ্ধ “ ঢাকা কস্তুরী’তে” বার বার খাদ্যে টিকিটিক পাওয়ার রহস্য কি?।
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের ও দাবী জানিয়েছেন সচেতন গ্রাহকরা।