উখিয়ায় জামতলী ক্যাম্পে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১২

কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নে জামতলী ক্যাম্পে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে এনজিও কর্মকর্তাসহ ১২ জন আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে উপজাতি বাউনো চাকমা বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত রাখাইন যুবক এনজিও সংস্থা উত্তরণের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা ড্রাইভিং, সেলাই কাজ, ব্লক কার্টিং, ইলেক্ট্রনিক্স, মোমবাতি ও টুপি তৈরিসহ নানা ধরনের হাতের কাজ প্রশিক্ষণের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছিল। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে প্রায় ৩০/৩৫ জন রাখাইন ও স্থানীয় যুবক, মহিলা যথারীতি ইন্টারভিউতে যোগদান করে জামতলী অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে মহিলাদের সাথে অশালীন ব্যবহার করে কয়েকজন স্থানীয় যুবক। এসময় উপজাতি যুবকেরা হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয় যুবকেরা পাল্টা হামলা চালায়। শুরু হয় ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ছুরিকাঘাতসহ বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ।
এ ঘটনায় জুমন চাকমা (২২), ছৈয়বু চাকমা (২২), দুলাল চাকমা (১৮), প্রাণ চাকমা (১৮), উলান চাকমা (মহিলা) (১৬), মাছু চাকমা (১৬), সন্তো চাকমা (২০), অজয় চাকমা (১৮), উপম (১৮) ও রূপম চাকমাসহ ১০ জন রাখাইন যুবক আহত হয়। তাদের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এনজিও সংস্থা উত্তরণের ফিল্ড কোর্ডিনেটর অনাদি মল্লিক জানান, মারামারি নিষ্পত্তি করতে গিয়ে তিনিসহ তার একজন কর্মকর্তা আশিকুর রহমান গুরুতর আহত হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘণ্টাব্যাপী মারামারি চলাকালীন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কোন লোকজনকে দেখা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী এনজিও কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয়পক্ষেই কমবেশী আহত হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী এগিয়ে এসে ঘটনার নিষ্পত্তি না করলে পরিণতি আরো ভয়াবহ হওয়ার আশংকা ছিল।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ সনজুর মোরশেদ বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।