দেশে দিনের ভোট রাতে হয়

বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। নির্বাচনী একটি উৎসব। কিন্তু আমাদের দেশে তা নেই। ভোট মানে মামলা-হামলা, নির্যাতন, ব্যালট লুট, খুন, অপহরণ ও গুম। আগে এই দেশে নির্বাচন আসলে উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যেত, সারারাত ভোটের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতো। কিন্তু সেই উৎসব আজ আর নেই। এখন সরকার সমর্থিত সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করে জনগণের ভোট লুট করে। দিনের ভোট রাতে হয়। দেশে গণতন্ত্রের লেবাসে স্বৈরতন্ত্রের চর্চ্চা চলছে। দেশ একদলীয় সরকারের পথে হাঁটছে। অন্যদিকে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব আজ অ্যামেরিকার ভোটের দিকে তাকিয়ে আছে। চলছে ভোটের উৎসব। গণতান্ত্রিক প্রন্তায় জনগণ ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে। গণতন্ত্র র্চ্চার উন্নত
দেশ আমেরিকার নির্বাচনের মত এদেশেও স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক পরিবেশে দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়।
তিনি আজ ৪ নভেম্বর বুধবার, বিকালে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের রাজনীতি ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার এক পর্যায়ে একদলীয় বাকশালী একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা রূপ পেয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঐ বছরের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি অংশ আধিপত্যবাদের ভাবনায় প্ররোচিত হয়ে তৎকালীন সেনাবাহিনীর চীফ স্টাফ অফিসার স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। তিনি ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ক্যান্টমেন্টে বন্দি ছিল। ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লাবের মাধ্যমে তিনি মুক্ত হন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বল্প সময়ে দেশের মানুষের অন্তরে স্থান করে দেশপ্রেম, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সার্ক
প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন উন্নয়মূখী কর্মকান্ডের কারণে জনপ্রিয় একজন রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলো। একটি মহল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও জিয়া পরিবারের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জিয়া পরিবার ও বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। প্রস্তুতি সভায় আগামী ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিকাল ৩ টায় ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংসগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য তিনি আহবান জানান।
কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, জাতির জন্য ৭ নভেম্বর জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক একটি দিন। ৭ নভেম্বর সৃষ্টি না হলে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো না। গণতন্ত্র বর্তমানে একটি ঐতিহাসিক শব্দে পরিণত হয়েছে। কারণ দেশে গণতন্ত্র বলতে কিছুই নে। গণতন্ত্র কি জনগণ তা ভুলে গেছে। দেশে চলছে একনায়তন্ত্রের আািধপত্যবাদ।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমে ঐতিহাসিক পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়। আজকের বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, জনগণের নিরাপত্তা কিছুই নেই। দেশ ও জাতি আজ
চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আজ হুমকীর মুখে। ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গনতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বাকশালের প্রেতাত্মার ঘৃণ্য থাবায় গোটা জাতি আজ বিক্ষুব্ধ। এমতাবস্থায় ৭ নভেম্বরে বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক জনতাকে এগিয়ে আসতে হবে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিঃ সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭৫ সালের এ দিনে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সৈনিক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস। ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তকে রুখে দেয়ার জন্য অকুতোভয় সিপাহী-জনতা এক ইস্পাত কঠিন ঐক্যে শপথবদ্ধ হয়ে ৭ নভেম্বর
ঐতিহাসিক বিপ্লব সংগঠিত করেন। এই  ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনাকে ধারণ করে গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমানে অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নেমে আসতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি নাজিমুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, হারুন জামান, শফিকুর রহমান স্বপন, অধ্যপক নুরুল আলম রাজু, সি: যুগ্ম সম্পাদক এস
এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক  শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসন লিপু, সহ সধারণ সম্পাদক হাজী সালাউদ্দিন, মাহাবুব আলম, সাংগঠনিক  সম্পাদক মনজুর আলম মনজু, মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার
সম্পাদক, সিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদক বৃন্দ এড. সিরাজুল ইসলাম, শেখ নুরউল্লাহ বাহার, ফাতেমা বাদশা, মনোয়ারা বেগম মনি, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, ইব্রহীম বাচ্ছু, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন,  হাজী হানিফ সওদাগর, নগর বিএনপির সহ সম্পাদক বৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, শাহ জাহান, সেলিম উদ্দিন শাহীন, জেলী চৌধুরী,  আবদুল মতিন, আবু মুছা, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, রঞ্জিত বড়ুয়া, আলী আজম, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নূর হোসেন, জাহিদ হাসান, হাজী বাদশা মিয়া, মাঈনউদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম  নগর
বিএনপির সদস্য জেসমিনা খানম, মোঃ ইলিয়াছ, আইয়ুব খান, বুলবুল আহমদ, রেজিয়া বেগম মুন্নি, হাজী নুরুল হক,  মনিরুজ্জামান টিটু, মনিরুজ্জামান মুরাদ, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী মিনু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, রফিক চৌধুরী,
আবদুল্লাহ আল সগির, আলাউদ্দিন আলী নূর, কাজী শামছুল আলম, মো: ইলয়াছ, মোশারফ জামান, আবদুজ জাহেদ, মহসিন, সাইফুল, এস এম ফরিদুল আলম, মোঃ শরিফুল ইসলাম, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, নাছিম চৌধুরী, হাজী এমরান, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, হাসান ওসমান, এম এ হালিম বাবলু, হাজী আবু ফয়েজ, সফিউল্লাহ, হাজী জাহেদ, হায়দার আলী, জসিম মিয়া, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া,এস এম আজাদ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মিয়া
মোহাম্মদ হারুন, সাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ মুছা, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, তানভীর মল্লিক, আসাদুর রহমান দিদার প্রমুখ।