বেগম জিয়া ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফরমায়েসী রায়ে সাজা ভোগ করছেন

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম প্রধান এবি এম পারভেজ রেজা বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আইনের শাসন নিশ্চিত করে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং একটি সুখী সমৃদ্ধ স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহীদ জিয়া দেশে যে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার সুচনা করেছিলেন সেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ ভুয়া ও ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফরমায়েসী রায়ে সাজা ভোগ করছেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক চড়াই-উৎড়াই, নানাবিধ ষড়যন্ত্র ও সীমাহীন জুলুম উপেক্ষা করে আজো বিএনপি তার লক্ষ্যে অটুট আছে। ভয়কে জয় করে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে বিএনপি দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে চলছে। বিএনপির অগ্রযাত্রা রুখে দাড়াঁনোর সাধ্য কারো নেই। আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকা আওয়ামী ফ্যাসীবাদী অপশক্তির হাত থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবে। শহীদ জিয়ার ১৯দফা বাস্থবায়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সৈনিকদের আরও অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগরীর আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনকল্পে আজ ৪ নভেম্বর, বুধবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ইপিজেড ও পতেংগা থানা আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি শওকত আজম খাজা বলেন, আওয়ামী লীগের মুখে উন্নয়নের বুলি থাকলেও আড়ালে দুর্নীতি আর লুটপাটের মহোৎসব। দেশে এখন আছে শুধু খুন, গুম, ধর্ষণ, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজার লুটেরা। আর ‘উন্নয়ন’ হচ্ছে তাদের দুর্নীতির মূল খোড়াক। জনগণের উপর নানাবিধ ট্যাক্স ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহ বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি করে তারা লুটপাটের টাকা সমন্বয় করে। দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ তাদের পছন্দ করেনা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেনা জেনেই তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিরোধী মত দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু সবকিছুরই একটা শেষ আছে। আওয়ামী স্বৈরাচারী শক্তিকেও বিদায় নিতে হবে। সময়ের ব্যবধানে তারাও ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। সভাপতির বক্তব্যে এইচ এম রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সাথে চলার নজির নেই। যখনই তারা ক্ষমতায় গিয়েছে হয়তো বাকশাল করেছে, নয় তো গণতন্ত্র হত্যা করেছে। ভোট চুরি করে, বন্দুকের নলের জোরে ক্ষমতায় থাকা যায়, কিন্তু মানুষের ভালবাসা পাওয়া যায়না। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। গণমানুষের প্রিয় এই দলকে দমিয়ে রাখার সাধ্য কারো নেই। বিএনপি ছিল আছে এবং থাকবে। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। দেশনায়ক তারেক রহমান আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের কান্ডারি। তাই তো বাকশালী ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপি এবং শহীদ জিয়ার পরিবারকে ভয় পায়। চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় উক্ত কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সওগাতুল ইসলাম সাগির,সহ – সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ আলম, সহ- সাধারণ সম্পাদক এম জি মাসুম রাসেল, সহ – সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার হোসেন সারু, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি হারুন আল রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম । পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানার আওতাধীন মহানগর নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সাধারন সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন,সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহাগ খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দীন বারেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সুমন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক নাসিরুল ইসলাম মানিক,শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাইফুল রহমান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফরহাদ আলম মৃধা, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোক্তার হোসেন, সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ নিজাম।