ইছহাকের পুলের নিচের পাইপ সরিয়ে নিতে ওয়াসার প্রকৌশলীকে ফোন

মশক নিধন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে খবর আসে বাকলিয়ার ইছহাকের পুলে বর্জ্য-আগাছায় পানি আটকে আছে। খবর শুনেই চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ছুটে যান পুলের দিকে।
পুলের নিচে ওয়াসার সংযোগ লাইনের দুটি বড় লোহার পাইপ দেখতে পান। যার সঙ্গে বড় বড় কচুরিপানা, ঘাস, বিভিন্ন আগাছা, লতা-গুল্ম আটকে খালের পানি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। চসিকের শতাধিক শ্রমিকসহ নিজে নেমে পড়েন আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে। দীর্ঘদিনের জঞ্জাল সরাতেই দেখা যায় কালো পানি। পাইপ সরিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা করতে ওয়াসার প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থল থেকে ফোনও করেন সুজন।

বুধবার (৪ নভেম্বর) বাকলিয়ায় এমন ঘটনা দেখা গেছে।

মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সুজন বলেন, চাক্তাই-মহেশখালসহ অধিকাংশ খাল এখন ময়লা আবর্জনায় ভরা। করপোরেশন মশক নিধনে এসব আবর্জনা পরিষ্কারে কাজ শুরু করেছে। আগামীতে পরিষ্কার হওয়া খাল-নালায় কোনো ময়লা, আবর্জনা দেখলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।

নগরবাসীকে পলিথিন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পলিথিনের কারণে আজ কর্ণফুলী নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। পলিথিন ব্যবসায়ীদেরও বিকল্প ব্যবসার পথ খুঁজতে বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রশাসক বলেন, ময়লা-আবর্জনার মধ্যে মশা বংশ বিস্তার করে। সামনে ডেঙ্গুর মৌসুম। ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি এডিশ মশা ফুলের টবে জমে থাকা স্বচ্ছ পানি, রেফ্রিজারেটরের পানি ও ছাদের কর্নিশে জমা পানিতে বংশ বিস্তার করে। তাই এডিশ মশার প্রজনন ধ্বংসে আমাদের নিজ বাসা-বাড়ি, আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। মশার প্রজনন ধ্বংসে আমরা পরিবেশবান্ধব ওষুধ ছিটানোর কথা ভাবছি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শমতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়, তেমন ওষুধ ছিটাতে হবে। আমরা এখন তা নিয়ে ভাবছি। নগরবাসী সচেতন হলে ডেঙ্গুসহ ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।