মামির সন্তানের পিতা্ ভাগ্নে

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভা এলাকায় এক কিশোরের বিরুদ্ধে মামিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সকালে থানায় মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে কিশোর ভাগ্নেকে আটক করে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের একটি দল।

দুপুরে অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালীর শিশু আদালত-১-এর বিজ্ঞ বিচারক জয়নাল আবেদিনের আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিচারক অভিযুক্তকে গাজীপুরের টঙ্গীতে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে, বেগমগঞ্জ-৪ বিচারিক আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।

অভিযুক্ত কিশোর সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই কিশোর অভিযোগকারী নারীর বড় ননদের ছেলে।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান শিকদার ভুক্তভোগীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ওই নারী গত ডিসেম্বরে বড় ননদের ভাড়া বাসায় বেড়াতে যান। ওই সময় বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ননদের ছেলে তাকে ধর্ষণ করে। এতে পরে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার ১১ মাস পর এক মাসের এক কন্যাশিশু কোলে নিয়ে বেগমগঞ্জ থানায় এসে তিনি ধর্ষণের কথা জানান ও শিশুর পিতা তার বড় ননদের ছেলে বলে দাবি করেন। পরে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ওই গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।