ব্যাংক কর্মকর্তা সেকান্দর আলীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

রাঙামাটির রাজস্থলীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত ব্যাংক কর্মকর্তা সেকান্দর আলীর লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের শেষে তার লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে চন্দ্রঘোনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে পুলিশ।

নিহত সেকান্দর আলী রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া বাজারে গ্রামীণ ব্যাংকের বাঙ্গালহালিয়া শাখার সহকারী ম্যানজার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলি গ্রামে।

চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে যতটুকু জেনেছি তা হচ্ছে তিনি রান্না করছিলেন তখন সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ঠিকমতো প্রবাহ হচ্ছিল না। তখন কোনোভাবে পাইপ ছিদ্র হয়ে গ্যাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনি আগুন জ্বালালে তার গায়েও ধরে যায়। পরবর্তীতে তিনি নিজেকে বাঁচাতে বাথরুমে প্রবেশ করে শরীরে পানি দেওয়ার চেষ্টা করেও নিজেকে শেষ রক্ষা করতে পারেন নি। পাশের রুমে দুইজন থাকলেও আগুনের ভয়াবহতা দেখে তারা নিজেদের বাঁচাতে চেষ্টা করেন। সেকান্দরকে সাহায্য করতে পারেননি। আজ (মঙ্গলবার) লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।

রাঙামাটি গ্রামীণ ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার গোলাম কবির খান জানান, নিহত সেকান্দর আলীর ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। লাশ নিতে তার তিন ভাই রাঙামাটি আসে, আমিও লাশের সাথে আছি। চাকরির বিধান অনুযায়ী পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার রাত ৯টার সময় রান্না করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের ওই কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। তার বাবার নাম মৃত আবদুল গনি।