মাস্কবিহীন কাউকে দেখলে স্পট জরিমানা করা হবে

কোভেড-১৯ প্রতিরোধ ও মশক নিধন বিষয়ক সভায় সুজন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন করোনা সংক্রমন পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রনে থাকলেও শংকা কাটেনি এবং শীত মৌসুমে এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধির আশংকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে মাস্ক বিহীন অবস্থায় কাউকে রাস্তায়, বাজারে, শপিং মলে যানবাহনে চলাচল করতে দেখা গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্পট জরিমানা করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যদি সচেতন না হই তা হলে কোভিড-১৯ এর সাথে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া যুক্ত হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। তাই আগে ভাগে মশক প্রজননের উৎস ও উৎপত্তির স্থান নির্মূলে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ শীঘ্রই ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নেবে। তিনি আজ সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে চসিক বিভাগীয় প্রধান ও প্রকৌশলীদের সাথে অনুষ্ঠিত মশক নিধন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধ বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে যে সকল স্থানে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল আটকে দেয়া হয়েছে সেখানেই মশক প্রজনন ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই পানি যাতে জমে না থাকে সে জন্য পানি সরে যাওয়ার বিকল্প পথ তৈরীর ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিটি বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাস স্ট্যান্ড, রেলস্টেশন ও বিমান বন্দর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষকেই নিজ নিজ উদ্যোগে করতে হবে। কাঁচা বাজার, মাছ-মাংসের দোকানে বিক্রেতাদের অবশ্যই গøাভস ব্যবহার করতে হবে। মসজিদ মন্দির-গীজা-প্যাগোডায় যারা নামাজ-এবাদত-প্রার্থণা করতে আসবেন তাদের প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে। উপাসনালয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। নামাজ-এবাদত-প্রার্থণার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই সভায় চসিক প্রশাসক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান ও বিভাগীয় প্রধানদের সদস্য করে মশক নিধন কার্যক্রম ও কোভিড-১৯ বিষয়ক একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দেন। এ সময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।