মৃতের আত্মার শান্তি কামনায় অল সোলস ডে পালিত

নগরের পাথরঘাটার পবিত্র রানি জপমালা গির্জা ও পাশের সমাধিগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে অল সোলস ডে। মৃতের আত্মার শান্তি কামনায় প্রতিবছর নভেম্বর প্রথম সোমবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশেষ এ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

প্রার্থনা শেষে সমাধিগুলোতে বর্ষিত হয় পুষ্পবৃষ্টি। প্রিয়জনদের স্মরণে জ্বালানো মোমের আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এ সময় পরিবারের সদস্যরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন পূর্বসূরিদের। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়ে পারিবারিক বন্ধন আর সামাজিকতা। ফাদাররা হেঁটে হেঁটে ছিটাতে থাকেন পবিত্র পানি, বিতরণ করেন প্রসাদ।

সরেজমিন দেখা গেছে, সমাধির পাশে দাঁড়ানো মানুষগুলোর মধ্যে কারও চোখ জল ছলছল। হয়তো স্মৃতির পাতায় পড়ছিলেন সোনালি অতীত। যারা আজ না ফেরার দেশে। তাদের স্মরণ, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানানোর পাশাপাশি আশীর্বাদ কামনা করেন তারা। এবার বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হয় অল সোলস ডে। প্রতিবছর উন্মুক্ত থাকলেও এবার গির্জায় প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো পাথরঘাটা ক্যাথিড্রালে সপরিবারে এসেছিলেন মি. রড্রিকস।

তিনি বলেন, ২৫ ডিসেম্বর আমাদের বড় দিন। ২ নভেম্বর মৃত স্বজনদের স্মরণ করতে দূর দূরান্ত থেকে এমনকি বিদেশ থেকেও সমাধিতে ছুটে আসেন অনেকে। এতে করে একদিকে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের মিলনমেলা হয়, অন্যদিকে মৃত স্বজনদের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের পাশাপাশি প্রত্যেকে সৎভাবে জীবনযাপনের প্রেরণা পেয়ে থাকেন।

সূত্র জানায়, অল সোলস ডে উপলক্ষে ২ সপ্তাহ ধরে কবরগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন স্বজনরা। যাদের কেউ নেই এ পৃথিবীতে তাদের কবরগুলো পরিষ্কার করে গির্জা কর্তৃপক্ষ।

মি. জন বলেন, প্রিয়জনদের স্মরণ করতে প্রতিবছর এ দিনে আমরা আসি। কবরকে আলোকিত করি। প্রার্থনা করি। সুন্দরভাবে যাতে চলতে পারি সেজন্য যিশুর অনুগ্রহ কামনা করি। দেশ ও জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করি। এবার করোনামুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছি।