ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে ৩.৪০ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির মামলা

দেশে ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

এ নিয়ে ফুডপান্ডার বিরুদ্ধে মামলাও করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এ অধিদপ্তর।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, ফুডপান্ডায় অভিযানে জব্দ করা নথিপত্র অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারি এবং এপ্রিল মাসে মোট ২৭ কোটি ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫১৭ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

‘সেখানে তারা ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৭২ টাকা বিক্রির তথ্য প্রদর্শন করেছে। এ ক্ষেত্রে পরিহার করা ভ্যাট হচ্ছে ৫৩ লাখ ১০ হাজার ৭৪ টাকা। বাড়িভাড়া বাবদ ৫৬ লাখ ৬৬ হাজার ২৬ টাকা এবং উৎসে কর কর্তন বাবদ ১ কোটি ২৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৩ টাকা। এখানে মোট দাঁড়ায় ২ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৬৫৩ টাকা। আর এই না দেওয়া ভ্যাট এর উপর সুদ বাবদ ১ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার ২৬০ টাকা ভ্যাট। সব মিলিয়ে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেয়া হয়েছে’ জানায় ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডের কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়েছিল।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাজমুন্নাহার কায়সার ও সহকারী পরিচালক মো. মহিউদ্দীন এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, প্রায় পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠান হতে খাদ্য সংগ্রহ করে ভোক্তার কাছে সরবরাহ করে ফুুডপান্ডা। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো হতে কমিশন নেয় তারা। অভিযানের সময় ফুডপান্ডা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাটসংক্রান্ত নথিপত্র দেখায়। তবে তল্লাশিতে সিনিয়র কর্মকর্তার ল্যাপটপে মাসিক বিক্রির গোপন তথ্য মেলে। এছাড়া কিছু বাণিজ্যক দলিলও পাওয়া যায়।

অভিযানে পাওয়া তথ্য হতে ভ্যাট গোয়েন্দারা জানায়, ফুডপান্ডা তথ্যপ্রযুক্তি সেবা কোড এস-০৯৯.১০ এ আওতায় নিবন্ধন নিয়ে ব্যবসা করছে। এতে তারা বাড়ি ভাড়ার ভ্যাট দিচ্ছিলো না। প্রতিষ্ঠানটি ইলেকট্রনিক নেটওয়ার্ক (অনলাইন প্ল্যাটফর্ম) ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করে। এর সেবার কোড এস-০৯৯.৬০। এতে ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাড়িভাড়ায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে।