মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী চাল বিতরণ মানবিক উদ্যোগ

নিবন্ধিত মৎস্যজীবীদের ভি.জি.এফ চাল বিতরণকালে সুজন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, প্রজনন পরিবেশ সুরক্ষায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকা সময়ে নিবন্ধিত মৎসজীবীদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভি.জি.এফ চাল বিতরণ প্রণোদনা কার্যক্রম একটি প্রশংসনীয় মানবিক উদ্যোগ। এর ফলে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে বেকার মৎস্যজীবী পরিবারের দুর্ভোগ লাঘব ও দু’মুঠো অন্নের সংস্থান সম্ভব হচ্ছে। তিনি আজ সকালে নগরীর উত্তর কাট্টলীস্থ খেজুর তলা জেলে পাড়ায় মৎস্যজীবীদের মাঝে সরকারী চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মৎস্য প্রজননকালীন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকায় সামৃদ্রিক মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আকার ও ওজনে বড় হচ্ছে। এতে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়াও সামুদ্রিক মাছ রফতানী করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাময়িক একটু সমস্যা হলেও নির্দ্দিষ্ট সময়ে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে বাকীটা সময় মাছে-ভাতে বাঙালির সুখেই কাটবে। তিনি সর্তক করে দেন যে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে কর্ণেল হাট ও ঝোলার হাটে সামুদ্রিক মাছ দেখা গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই সময় মৎস্যজীবীরা প্রশাসককে অবহিত করেন যে, মাছ শিকারের জন্য তাদের নির্ধারিত স্থানে ভোলা থেকে আসা মৌসুমী মৎস্যজীবীরা স্থানীয় কিছু মানুষের সহযোগিতায় তারা স্থানীয় জেলেদের বাঁধা দেয় এমন কি নির্যাতনও চালায়। তিনি এ বিষয়টি আমলে এনে বলেন, কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হবে। এ সময় জেলা সম্প্রদায়ের পক্ষে বক্তব্য রাখেন অনাথ বন্ধু দাস, সুভাষ দাস, সমীরণ দাস, রতন দাস, রতন দাস সহ স্থানীয় রাজনৈতিক আবদুস সালাম, আলী আজমী মিন্টু, শাহাদাত হোসেন, আলাউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।