কর্ম ও মানবতাই হলো মানুষের বড় ধর্ম

দুঃস্থ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বস্ত্র বিতরণে সুজন
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেন, কর্মই হলো মানুষের ধর্ম। কর্মের মাঝেই শরীর-মন দুই’ই সতেজ ও প্রফুল্ল থাকে। কর্ম না করে, চুরি করলে বিত্ত অর্জন করা যায়, চিত্ত অর্জিত হয় না। তাই মানুষের মনের ময়লা দূর না হলে সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নেয়া যাবে না। আচার সর্বস্ব ধর্ম-কর্ম করে কোন লাভ নাই। মানুষের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে না দাড়ালে মনুষ্যত্ব অর্জিত হয় না। তিনি আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনলাইন ভিত্তিক সংগঠন বিএমএইচ ফ্যামিলি আয়োজিত সর্বজনীন দুর্গোৎসব উপলক্ষে দরিদ্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংগঠনটি মোট একশ সনাতন ধর্মাবলম্বীর মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের এডমিন মো. ফয়সালুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজনীতিক তপন চক্রবর্তী, রাজীব দে শম্ভু। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নেতা সত্যপদ তালুকদার, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিবেদক রূমন ভট্টচার্যসহ জীবন মিত্র, রাজীব নন্দী রাজা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনর প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, সর্বজনীন দুর্গোৎসব এবার করোনার কারণে বিশেষ পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় দুটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুরক্ষা নিয়ে সংযমের মাধমে পালন করা হয়। তিনি করোনার প্রকোপ আবারও বাড়তে পারে এই আশঙ্কা প্রকাশ করে, হিন্দু সম্প্রদায়কেও সংযমের মাধ্যমে দুর্গোৎসব পালনের আহŸান জানান। এসময় প্রশাসক পাড়া মহল্লায় বাসস্থান ও প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের সামনের ময়লা আবর্জনা নিজ উদ্যোগে পরিস্কার রাখতে বলেন। কর্পোরেশনের পক্ষে থেকে প্রয়োজনে ময়লা সংগ্রহ করার থলে সরবরাহ করা হবে। এতে আপনারা নিজ-নিজ ময়লা-আজর্বনা জমিয়ে রাখবেন। কর্পোরেশনের সেবকগণ তা আপনাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে। তিনি নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ্ই শহর আপনাদের তাই আপনাদেরও নাগরিক দায়িত্ব রয়েছে। আমি চট্টগ্রাম নগরীকে পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য করার প্রয়াসে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিত কামনা করছি।
পরে প্রশাসক সনাতনী দুঃস্থদের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করেন।