দুই ইপিজেড থেকে সার্ভিস চার্জ চায় চসিক

বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (বেপজা) জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নগরের বড় ইপিজেড দু’টি চসিকের সড়ক অবকাঠামো ব্যবহার করে তাদের নিত্য ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচলনা করেছে। এ ক্ষেত্রে চসিক তাদের কাছ থেকে ন্যূনতম একটি সাভিস চার্জ পেতে পারে।
যা দিয়ে নগরের সড়ক অবকাঠামো সংস্কার ও উন্নয়ন সম্ভব।

বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বেপজার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে সুজন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যানবাহন চলাচলের জন্য ভালো মানের রাস্তা ও অবকাঠামো প্রয়োজন। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এই ব্যয় নির্বাহে বেপজার অংশীদারিত্ব চট্টগ্রাম নগরবাসী তো বটেই তার সুফল ভোগ করবে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলও।

বেপজা সরকারের কাছ থেকে অনেক ক্ষেত্রে কর অবকাশ সুবিধা পেয়ে থাকে। যেহেতু সিটি করপোরেশন তাদের শিল্পের গার্ভেজগুলোসহ পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে অনেক সেবা দিয়ে যাচ্ছে, সেই বিবেচনায় যদি ন্যূনতম একটি সার্ভিস চার্জ সিটি করপোরেশন পায়, তাহলে সত্যিকার অর্থে অবদান হিসেবে চিহ্নিত হবে।

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (বেপজা) চেয়ারম্যান মেজর জেনালের এসএম সালউদ্দীন ইসলাম, প্রশাসকের বক্তব্যে সাড়া দিয়ে বলেন, প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রাম নগরকে পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর রাখার ক্ষেত্রে অল্প সময়ে ভালো ভূমিকা রেখেছেন, যা প্রশংসার দাবি রাখে। আমি সার্ভিস চার্জের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং এ ব্যাপারে সবধরনের সহযোগিতা করবো।

তিনি ইপিজেড এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য চসিক প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাসেম, ইপিজেডের জেনারেল ম্যানেজার মিসবাহ উদ্দিন মিসবাহ, বেপজা চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব আলী ইশতিয়াক প্রমুখ।